ছাতকে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবক নিহতের গুজবে বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে জাউয়াবাজার ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আব্দুল সালাম নামে যুবক নিহতের গুজবে প্রতিপক্ষের লোকজন কতৃক শেখ গোষ্টির বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাউদেরগাঁও গ্রামের মসজিদের জায়গা নিয়ে শেখ গোষ্টি ও খাঁন গোষ্টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৬ ঘটিকার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন গ্রামের মসজিদের পশ্চিম পাশে দেশীয় অস্ত্র, চুলফি ঝাটা ইত্যাদি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।শেখ গোষ্ঠীর নেতেৃত্বে ছিলেন তজম্মুল শেখ ও খাঁন গোষ্টির নেতৃত্বে ছিলেন মুহিব খাঁন।শেখ গোষ্টির মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন, মরম আলী (৩৫), জহির (২৪), মোহাম্মদ (২৭) রিয়াজ (৩৮), মিরাশ আলী (৪০), রাজা (২৪)। খাঁন গোষ্টির মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন, আব্দুল সালাম (৩৫), ইউনুছ খাঁ (৩০), ফরিদ খাঁ (৪০), আকিকুল (৩২), শেবুল (৩০), উভয় পক্ষের অন্যান্য আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। গুরুতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তী ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শেখ গোষ্টির জাবের আহমদ ও লিটন হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আব্দুল সালাম নিহতের গুজব ছড়িয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ঘর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর লুটপাট করা হয়। জাবের আহমদ ও লিটন হোসেন আরো জানান, আশিদ আলি (৪০), আহত মরম আলী (৩৮), জহির আলি (২৩), রেদওয়ান (২১), কাওছার (১৮)সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। খাতিবুন নেছা ও সুফিয়া বেগম বলেন, আমাদের প্রতিটি পরিবার এখন পুরুষ শুন্য। সব সময় গুজব আতংকের মধ্যে রয়েছি। নিরপরাধ কেউ যেনো হয়রানীর শিকার না হন সেজন্য সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, ছাতক থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।এ বিষয়ে খাঁন গোষ্টির শেবুল নাম পরিচয় দিয়ে গতকাল (শুক্রবার) মুঠোফোনে জানান, তাদের পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল সালামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আব্দুল সালাম সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ’তে রয়েছেন বলে জানান শেবুল। এ বিষয়ে খাঁন গোষ্টির মুহিব খাঁন এর সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব করেননি।এ বিষয়ে শনিবার রাত ৮ ঘটিকায় জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আহাম্মেদ উল্লাহ ভূইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কোন সংবাদ পাইনি। এ বিষয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির বলেন, মৃত্যুর কোন সংবাদ পাইনি তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তিনি আরো বলেন বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

You might also like