ছাতকে সরকারী জায়গা জবরদখল, অনুমোদন ছাড়াই গাংপাড়ের বাজার
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকের দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের দড়ারপাড় গ্রামের গোপাট ও পানির রাস্তার উপর এবং নোয়ানদীর পাড়ে বিভিন্ন দোকানকোঠা নির্মানসহ সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে জবরদখলসহ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর ছেড়াপাড়া গ্রামবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত জমসি আলির ছেলে আব্দুল কিয়াস।এতে দড়ারপাড় গ্রামের মৃত মফিজ আলির ছেলে আব্দুল আলি (মাস্টার), একই গ্রামের মৃত. জুনাব আলির ছেলে আব্দুল মছব্বির, মৃত. হারুন রশীদের ছেলে ইসবর আলি,মৃত আব্দুর রজাকের ছেলে জহির আহমদ,মৃত. তৈয়ব আলির ছেলে আশিদ আহমদকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আব্দুল আলি (মাস্টার) দড়ারপাড় গ্রামের গোপাট ও পানির রাস্তার উপর এবং নোয়ানদীর পাড়ে বিভিন্ন দোকানকোঠা নির্মানসহ সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে জবরদখল ও বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। গোপাটের উপর অবৈধভাবে দোকা কোটা নির্মান করে পানি নিস্কাসন ও স্থানীয় কৃষকদের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন।আব্দুল মছব্বির এবং ইসবর আলীর যোগসাজেসে দড়ারপাড় গাংপাড়েরবাজার নাম দিয়ে কোন প্রকার সরকারী অনুমোদন ছাড়াই ৩০টি থেকে ৩৫টি দোকান কোঠা নির্মান করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভোগদখল করে আসছেন। জহির আহমদ জল্লার খাড়া ও গোপাটের উপর বসতবাড়ি নির্মান করে কৃষকদের পানি চলাচল ও যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গোপাট ও নদীর তীরে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের ফলে স্থানীয় কৃষকরা কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে যাতায়াতে মারাত্বক সমস্যায় পড়েছেন। এতে হতদরিদ্র কৃষকরা নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। কৃষিনির্ভর মানুষজন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চরম হতাশায় ভোগছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যাচাই বাচাই ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।