ছাতকে সেই ধর্ষক ইউপি সদস্য আতর আলী জেলহাজতে

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে লম্প্ট প্রেমিক ধর্ষক ইউপি সদস্য মকছুদুল হাসান আতর দীর্ঘ পালিয়ে থাকার পর অবশেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার ছাতক জোন, সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রিট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, লম্পট প্রেমিক ধর্ষক মকছুদুল হাসান আতর উপজেলার ছাতক সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ও বাউসা গ্রামের বাসিন্দা। আর প্রেমিকার বাড়ি একই ইউনিয়নে। প্রায় ৭ বছর আগে তাদের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে এই সম্পর্ক প্রেমে পরিনত হয়। ভিকটিম তরুণীর অভিযোগ সম্পর্কের এক পর্যায়ে ছাতক পৌর শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে খাবার খেতে যান দু’জন। খাবারের সঙ্গে নেশা মিশিয়ে ভিকটিমকে অজ্ঞান করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক মকছুদুল হাসান আতর। এ ঘটনার পর প্রেমিক মকছুদুল হাসান আতর ভিকটিমকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বস্থ করা হয়। পরে একাধিকবার দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে এড়িয়ে চলতে থাকেন প্রেমিক মকছুদুল হাসান আতর।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে বিয়ে করবেন সম্মতি দিয়ে ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে যান প্রেমিক মকছুদুল হাসান আতর। ভিকটিমকে ঘরের দরজার সামনে রেখে মকছুদুল হাসান আতর চলে যান। তখন থেকেই ভিকটিম অনশন শুরু করেন। সোমবার (৭ সেপ্টম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাতক উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির, ছাতক থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল ও ছাতক সদন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম। এর পর ভিকটিম তরুণীর পাহারায় ৪ জন পুরুষ ও মহিলা গ্রাম পুলিশ নিয়োজিত করা হয়। স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে প্রেমিক ধর্ষক ইউপি সদস্যের বাড়িতে গ্রাম পুলিশের পাহারায় এক সপ্তাহ ধরে অনশনে থাকার পর অনশনরত ভিকটিম তরুণীকে প্রেমিক ইউপি সদস্যের বাড়ী থেকে ছাতক থানায় নিয়ে আসা হয়। অবশেষে প্রেমিক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিকটিম তরুণী বাদী হয়ে ছাতক থানায় ধর্ষন মামলা নং-১৫ দায়ের করা হয়।এর পর থেকে লম্পট প্রেমিক ধর্ষক আতর আলী আত্মগোপন করে ছিলেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুহিন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

You might also like