ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরোদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খানের বিরোদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় হতে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে তাজ উদ্দিনের নামে হলুদ চাষ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয় ৪৫ হাজার ৫শত টাকা।এক একর ভূমিতে হলুদের চারা জমি তৈরী ও বেড়া নির্মান বাবদ এ টাকা বরাদ্দ হলেও কৃষক তাজ উদ্দিনকে কোন ধরনের টাকা না দিয়ে অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান। অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে এ প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করতে তৌফিক হোসেন খান একদিন কৃষক তাজ উদ্দিনকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে পরামর্শ দেন হলুদের চারা বাজার থেকে সংগ্রহ করে লাগানোর জন্য।
কিন্তু তাজ উদ্দিনকে কোন ধরনের হলুদ চাষের জন্য টাকা দেওয়া হয়নি। তাজ উদ্দিন কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খানের পরামর্শে প্রায় এক একর জমি তৈরী করে বাজার থেকে চারা সংগ্রহ করে প্রায় ১শতক ভূমিতে চারা লাগানোর পর তৌফিক হোসেন খান উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলা উদ্দিনের মাধ্যমে সৃজিত চারার ভিডিও এবং ছবি তুলে দেয়ার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন।তাজ উদ্দিন দফায় দফায় ছবি এবং ভিডিও করে দিলেও তাজ উদ্দিনকে কোন টাকা বা সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়নি উপজেলা কৃষি অফিস হতে। অভিযোগ উঠেচে নাম মাত্র প্রায় ১শতক জমিতে কিছু হলুদের চারা লাগানো হয়েছে তাজ উদ্দিনের নিজ উদ্যোগে।
চৌমুহী বাজার ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলা উদ্দিন জানান, রাজারগাঁও গ্রামের তাজ উদ্দিনকে হলুদ চাষের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষক তাজ উদ্দিন জানান, হলুদ চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস হতে আমি কোন ধরনের সুযোগ সুিবধা বা টাকা পাইনি। অথচ উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলা উদ্দিন আমাকে বলেন কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি টাকা পেয়েছি বলে স্বীকার করব। ঢাকা হতে আমাকে একজন ফোন দিয়ে প্রকল্পের টাকার কথা জিজ্ঞেস করলে উনার কাছে আমি টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করলামনা কেন এ নিয়ে তিনি আমার সাথে রাগারাাগি করেন। আমি বলেছি টাকা না পেয়ে মিথ্যা কথা বলব কেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান জানান একজন কৃষককে হলুদ চাষের প্রকল্প দেয়া হয়েছে। কাকে দিয়েছেন এবং কত টাকা দেয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন রেজিষ্টার্ড দেখে বলতে হবে।