‘ছাতক প্রতিদিন’ আলোকিত ছাতকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জে ছাতকে পারিবারিক দন্ডের জেরে অপপ্রচার করায় মাননীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মো. আশরাফুর রহমান ছায়েম বাদী হয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট আইন ২০১৮ এর ২৫(১)ক,২৭,২৯,৩৩ দন্ডবিধি আইনের ৩৮৫ ধারায় মামলা নং ৪৩/২০২২ দায়ের করা হয়। এতে খান সেলিম, ফয়সল কাদির, ছাতক প্রতিদিন, ও ‘আলোকিত ছাতক’ সহ কয়েকটি ফেইসবুক আইডি ও ফেইসবুক পেইজ সহ ১১ জনকে আসামী করা হয়।জানা যায়, মো. আশরাফুর রহমান ছায়েম দীর্ঘদিন যাবত দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির কাজ করার সুবাদে পত্রিকাটির জেলা ব্যুরো প্রধানের দায়ীত্ব প্রদান করেন সম্পাদক খান সেলিম রহমান। এতে গত ১৮/৯/২০২১ ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জে সুনামগঞ্জ জেলা ব্যুরো অফিস উদ্বোধন করতে এসে অফিস ভাড়াসহ অফিস স্টাপ ও প্রতিনিধি নিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি। সেদিন অফিস উদ্বোধন শেষে ছায়েমের বাড়ীতে গিয়ে মো. আশরাফুর রহমান ছায়েমর শালিকা চাঁদনীকে খান সেলিমের ছোট ভাই সোহাগের জন্য বিয়ের প্রস্তব দেন। এতে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে বিগত ১২/১০/২০২১ তারিখে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক রেজিষ্ট্রারী কাবিনমুলে বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে চাঁদনী জানতে পারে তার স্বামী মাধকাশক্ত এমনকি চাদনীকে বিভিন্ন সময় মারপিট করায় সে তার পিত্রালয়ে চলে আসে। এ বিষয়ে স্বামী সোহাগের বিরুদ্ধে মাননীয় সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত সুনামগঞ্জে, পারিবারিক মামলা নং ০৭/২০২২ ইং (ছাতক) দায়ের করে চাঁদনীর পরিবার। এ মামলা তুলে নেওয়া সহ চাদনীকে তার স্বামীর নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাঁদনির দুলাভাই ছায়েমকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এবিষয়ে ছায়েম অপারগতা প্রকাশ করিলে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারসহ মামলা হামলার হুমকী দেয় সোহাগের পরিবার। এসব দন্ধ সমাধান দিতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার দায়ীত্ব থেকে বহিস্কার করা হয় ছায়েমকে যাহা বিভিন্ন অনলাইন গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে সম্পাদক খান সেলিমকে অনুরোধ করে ছায়েম। এতে বিগত ২৬/০৩/২০২২ ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জস্থ অফিসে আসেন খান সেলিম ও সিলেটে পুলিশের ভিডিও করে ভাইরাল হওয়া কতিথ সাংবাদিক ফয়সাল কাদির। এসময় মামলা তুলে না নিলে মো. আশরাফুর রহমান ছায়েম সঙ্গে ২০১২ সালে সংগঠিত একটি অপ্রিতিকর ঘটনার ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়ে মানহানি করার হুমকী প্রদান করেন তারা। যাহা বিগত ২০১২ সনের সিলেট জালালাবাদ থানার মামলা নং ১৮/২০১২ ইং উক্ত ভিডিও সংক্রান্ত মামলায় ছায়েম গত ০২/০১/২০১৩ ইং সনে মাননীয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত সিলেটের আদেশ মুলে মামলার দায় হইতে অব্যাহতি পান। আদালত হইতে খালাসপ্রাপ্ত বিষয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সম্মান ক্ষুন্ন করায় তিনি এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে একই বিষয়ে গত ৩০/০৩/২০২২ ইং তারিখে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে মো. আশরাফুর রহমান ছায়েম জানান, পারিবারিক মামলা সংক্রান্ত জেরে আমার উপর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলা হয়েছে। আদালত কর্তৃক খালাস পাওয়া ২০১২ সালের অপ্রিতিকর একটি ঘটনার ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকী দিয়ে আমার নিকট এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করা হয়। তিনি আরো বলেন চাঁদা না দেওয়ায় ও পারিবারিক মামলা তুলে না নেওয়ার কারণে ভিডিওটি বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও আইডিতে ভাইরাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরী মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।