ছাতক রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন-গ্রেফতার ৩

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জ ছাতক রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলম হত্যাকান্ডের ঘটনায় (ক্লু-লেস) মামলার রহস্য উদঘাটন করে মালামাল উদ্ধার ও ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে ছাতক থানা পুলিশ।গত বুধবার (০৭ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার জয়নগগর এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,গত ২৯ জুন ছাতক রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলম প্রতিদিনের ন্যায় রাত ১০ টায় সময় বিআর গোডাউনের মুল গেইট তালাবদ্ধ করে গোডাউনের ভিতরে দায়িত্ব পালন করে।সকাল ৬টা পযন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল তার। অজ্ঞাত নামা দুষ্কৃতিকারী রাতের বেলা গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ভীতরে প্রবেশ করে নৈশ প্রহরী ফখরুল আলমকে নির্মম ভাবে হত্যা করে গোডাউন থেকে রেলওয়ের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। পরদিন সকাল বেলা ডিউটি শেষে ফখরুল আলম বাসায় না ফেরাতে তাঁর সপ্তম শ্রেনীতে পড়–য়া ছোট ছেলে বাবার খোঁজে গোডাউনে এসে দেখতে পায় রক্তাক্ত লাশ হয়ে পড়ে আছে ফখরুল আলম। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম, ছাতক সার্কেল এএসপি বিল্লাল হোসেন, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো¯স্তফা কামালসহ ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএমকে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষে অভিযান শুরু করেন এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম।

চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ডাকাতি ছিনতাই চুরি সহ ০৯টি মামলার আসামী নুর আলী (৪০) সে ছাতক থানার জয় নগর গ্রামের মৃত রহমত আলী ছেলে। আসামী নুর আলীর স্বীকারোক্তি ও তথ্য মতে সিলেট চাঁদনীঘাট এলাকা হইতে রেলওয়ের মালামাল ক্রয় বিক্রয় সহ হেফাজতে রাখার দায়ে মিল্লাদ হোসেন ও মোঃ পরান মিাকেক গ্রেফতারসহ তাদের হেফাজত থাকা রেলওয়ের চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার কৃত তিন আমামীরাই মামলার ঘটনায় জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।এ বিষয়ে ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল গেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

You might also like