জগন্নাথপুরে বন্দুক যুদ্ধে গুলিবৃদ্ধ ৮, আটক ১২
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়ার লোকজনের সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ ইউ/পি সদস্য ইকবাল হোসেন সাজাদ মেম্বার গংদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে নারীসহ ৮ জনকে গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । আজ বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় কলকলিয়া ইউ/পি সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।এ সময় পুলিশ একটি লাইসেন্সকৃত বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়,নাদামপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়ার সাথে একই গ্রামের ইউ/পি সদস্য সাজাদ মেম্বারের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। গ্রামের আসাদ মিয়া মারা যাওয়ার চল্লিশ দিনের শিরনী নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির জেরে বিকেলে ইকবাল হোসেন সাজ্জাদ গংদের হাতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়া অপদস্থ হন। পরে প্রবাসী সিরাজ মিয়ার পক্ষের লোকজন বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়লে কমপক্ষে ১৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে নারীপূরুষসহ গুলিবৃদ্ধ ৮ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। গুলিবৃদ্ধ আহতরা হলেন, ফটিক মিয়া(৩৫), বিবিনুর বেগম(৫০), ফাতেমা বেগম(১৪), আব্দুল আলীম(৩০) হাফিজুর রহমান (২২), মিটু মিয়া(২২), তাসলিমা(১৭), রুমেজ মিয়া(৩২)। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রবাসী সিরাজ মিয়ার নামের একটি লাইসেন্সকৃত একটি বন্দুক উদ্বারসহ ১২ জনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলম সিদ্দিকী জানান, গুলিবৃদ্ধ ৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জগন্নাথপুর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনর্চাজ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একটি বন্দুক উদ্ধারসহ উভয় পক্ষের ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।