জগন্নাথপুরে বহুল আলোচিত জামাল হত্যা: চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা, থমথমে এলাকা
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫) নামের এক অটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসানকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
১ মে সোমবার নিহত জামাল মিয়ার ভাই সৈয়দ হোসাইন মিয়া বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।মামলার বাদী হোসাইন মিয়া বলেন, আসামিরা সন্ত্রাসী-মাস্তান ও গুন্ডা প্রকৃতির লোক। চেয়ারম্যান আবুল হাসান তাদের গডফাদার। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। আমার ভাইকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর এক স্বজন দাবি করেছেন, ঘটনার সময় চেয়ারম্যান আবুল হাসান সিলেট শহরে তাঁর বাসায় ছিলেন। তাঁকে প্রতিহিংসামূলক আসামি করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, সৈয়দপুর ঈশানকোনা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আলমগীর মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সৈয়দ হোসাইন আহমেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন ধরে দ্বন্ধ চলছিল। গত শুক্রবার রাতে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাত ৯ টার দিকে সৈয়দ হোসাইনের নেতৃত্বে কয়েকজন সৈয়দ আলমগীরের বাড়িতে গেলে আলমগীরের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫), সৈয়দ গফুর আহমেদ (২৮), সৈয়দ সেলু মিয়া (৫৫), সৈয়দ হোসাইন মিয়া (৩০) সৈয়দ আনহার মিয়া (৬০) ও সৈয়দ আমিন মিয়া (৬৫) গুলিবিদ্ধ হন। রাত ১০টার দিকে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আওলাদ হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সৈয়দ জামালের মৃত্যু হয়।
জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পরস্পরের আত্মীয়। আধিপত্য নিয়ে দ্বন্ধের জেরে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।