জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আগামিকাল বৃহস্পতিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন (জন্মাষ্টমী)। এ উপলক্ষ্যে ১৯ আগস্ট (শুক্রবার) মূল শোভাযাত্রা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির হতে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ্ পার্কে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এবং শোভাযাত্রার সড়কসমূহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শোভাযাত্রার নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে কতিপয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশা সকলকে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো। জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা চলাকালে উল্লেখিত রুটে কোন ধরণের যানবাহন পার্কিং না করতে এবং রুট এলাকার আশপাশের সকল দোকান বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।শোভাযাত্রা চলাকালে যানজট পরিহারের লক্ষ্যে ওই এলাকায় গাড়ি চালক অথবা ব্যবহারকারীদের বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বিকল্প রোডে যানবাহন চলানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ট্রাফিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ট্রাফিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন (জন্মাষ্টমী) উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির হতে শুরু হয়ে পলাশী বাজার-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট-বঙ্গবাজার-ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ভবন-গোলাপশাহ্ মাজার-গুলিস্তান মোড়-নবাবপুর রোড-রায় সাহেব বাজার মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ্ পার্কে গিয়ে শেষ হবে। এসব রুটে উচ্চস্বরে পিএ-সাউন্ড সিস্টেম না বাজানোর জন্যও অনুরোধ করা হলো।শোভাযাত্রায় প্রাথমিক অবস্থা থেকে সবাইকে মিলিত হতে হবে, কোনক্রমেই শোভাযাত্রার মাঝপথ দিয়ে কোন ব্যক্তি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
নিরাপত্তার স্বার্থে হ্যান্ড ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোটলা, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সাথে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া যাবে না বলেও জানানো হয়।শোভাযাত্রা চলাকালীন রুটে কোন ধরণের ফলমূল ছোড়ানো যাবে না, অহেতুক দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে নাসন্দেহজনক কোন ব্যক্তি বা বস্তু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করতে হবে।শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবক) ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরামর্শ মেনে চলতে এবং ব্যারিকেড, পিকেট ও আর্চওয়ে ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সবাইকে অনুরোধ করা হলো।এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসী, যানবাহন মালিক ও শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।