জবিতে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক বহিষ্কার, চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজি ফারজানা মীমকে যৌন নিপীড়নের দায়ে বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।বহিষ্কার ও অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত অপর শিক্ষক অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ফিল্স এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম।১৮ মার্চ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে অভিযোগ দেন মীম। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ১৯ মার্চ একই অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তিনি।জবাবে আবু শাহেদ ইমন গণমাধ্যমকে জানান তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক। মীমের পরীক্ষায় কম নাম্বার পাওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যান সরাসরি জানিয়ে দেন তিনি (মীম) ক্লাসে অনেক কম উপস্থিত ছিলেন ও অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেননি।বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়কদের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে আরও বেশি সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর। একটি অভিযোগ বক্স থাকলেও তাতে অভিযোগ জমা দিয়ে কোনো ফল পেতেন না ভুক্তভোগীরা। অবন্তিকা ও মীমের ঘটনার পর থেকে এ বিষয়ে সব বিভাগের ‍শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে বেশী সচেতন হয়েছেন। পাশাপাশি আর কোন শিক্ষার্থীদের যেন অবন্তিকার মতো আত্মহত্যা করতে না হয় সে বিষয়ে আরও সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

You might also like