জমিসহ ঘর পাচ্ছেন সেই আসপিয়া, মিলবে চাকরিও
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ নিয়োগ পরীক্ষার সবগুলো ধাপ পেরিয়ে আসার পরও পিতৃহীন আসপিয়া ইসলাম ‘ভূমিহীন’ হওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে তার নিয়োগ আটকে যায়।অবশেষে তার নিয়োগ নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে। জেলা প্রশাসন আসপিয়ার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ থেকে ঘর ও জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বকুল চন্দ্র কবিরাজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোশাল মাধ্যমে আসপিয়ার চাকরি না হওয়ার বিষয়টি বরিশাল জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসস আমাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমিহীন এই পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর মাধ্যমে জমি ও ঘর প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে আমি আসপিয়াকে কার্যালয়ে ডেকে এনে জানিয়েছে, এ সপ্তাহের মধ্যেই তার পরিবারকে ঘর ও জমি দেওয়া হবে । এতে তার নিয়োগ নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা থাকবে না।
তিনি জানান, খাসজমি বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুততম সময়য়ে আসপিয়া বা তার মায়ের নামে জমি ও ঘর হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।এদিকে সোশাল মিডিয়ায় পুলিশে আসপিয়ার চাকরি হয়েছে, এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অফিশিয়ালি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরিশাল জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ সদর দফতর। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল জেলা থেকে টিআরসি পদে ৭ জন নারী ও ৪১ জন পুরুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করেন আসপিয়া ইসলাম। ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও কৃতকার্য হন। ২৪ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন আসপিয়া।২৬ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।সেখানে কৃতকার্য হন আসপিয়া। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিয়োগ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। কারণ তিনি বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নন।এই নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। পিতৃহীন আসপিয়া ভূমিহীন হওয়ায় তার নিয়োগ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তৈরি হয় ব্যাপক আলোচন।