‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি জাতির রক্তঋণ শোধ করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বিকেল ৩টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি।সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি-এর সাধারণ সম্পাদক রাজনীতিবিদ ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজনীতিবিদ শিরিন আখতার এমপি, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রনির্মাতা নাট্যব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য কথাশিল্পী শহীদসন্তান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোয়াড-এর সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সম্পর্কিত কমিটির সদস্য ফয়সাল হাসান তানভীর ও নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী কাজী মুকুল।

সভাপতির প্রারম্ভিক বক্তব্যে ১৫ আগস্টের কালরাত্রির শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে ধর্মের নামে যেভাবে ভিন্নমত, ভিন্নধর্ম, ভিন্নদেশী এবং ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসীদের হত্যা করা হয়েছে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্নÑ এর মূল নিহিত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের পুনরুত্থান ঘটানো সম্ভব ছিল না। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় সহযোগীদের শোচনীয় পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান কবর খুঁড়ে পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পুনপ্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তার মাশুল এখনও গোটা জাতিকে দিতে হচ্ছে।

‘বাংলাদেশে জঙ্গী মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিহতকরণ ও নির্মূলন সম্পর্কে সরকার এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন ফোরামে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। অথচ এই সন্ত্রাসের যে নির্দিষ্ট দর্শন ও রাজনীতি রয়েছে এ বিষয়ে নাগরিক সমাজের অনেকের, এমন কি সরকারের নীতিনির্ধারকদেরও ধারণা স্বচ্ছ নয়। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের যে মৌলবাদীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ ঘটেছে যেভাবে ধর্মের নামে সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটেছেÑ পরিত্রাণের অমোঘ নিদান হচ্ছে ১৯৭২-এর মূল সংবিধানের পুনঃপ্রবর্তন, যেখানে জেনারেল জিয়া বা তার উত্তরসূরীদের কোনও কলঙ্কচিহ্ন থাকবে না। আরও নির্দিষ্টভাবে যদি বলি, ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রেখে জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ না করে ধর্মের নামে চলমান জঙ্গী সন্ত্রাস সাময়িকভাবে দমন করা গেলেও কখনও তা নির্মূল করা যাবে না এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে যাবে না। বঙ্গবন্ধুর প্রতি জাতির রক্তঋণ শোধ করতে হলে রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষাÑ সর্বক্ষেত্রে তাঁর দর্শন বাস্তবায়ন করতে হবে।’

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ব্যক্তি বা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিল না। তাঁকে হত্যা করা ছিল তার রাজনৈতিক দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ’৭২-এর সংবিধানকে হত্যা করা। যার জন্য আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি এবং নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করেছি। জিয়াউর রহমান ’৭২-এর সংবিধান কাঁটাছেঁড়া করে, বিশেষ করে ধর্মনিরপেক্ষতা মুছে ফেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছেন। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু অস্ত্রের পিছনে অর্থ ব্যয় না করে বিশ্বের দরিদ্রতা মুক্তির কাজে তা ব্যয় করার জন্য বিশ্বকে আহবান জানিয়েছিলেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সাথে অতিবিপ্লবী সিরাজ শিকদার, হক, টিপুদের মতো অতি বামদেরকে সংগঠিত করে সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ধর্মের নামে রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। তাঁকে হত্যার পরেও এই দর্শনের কারণে তিনি অমর। আজ প্রমাণিত হয়েছে, খুনীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারে নি। আজ সারা বিশ্বের জন্য প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা, শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা তাঁর রক্তঋণ শোধ করতে পারব। ’

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বহু ধর্মব্যবসায়ী আফগানিস্তানে চলে যাচ্ছে যুদ্ধের জন্যÑ যা অশনী সংকেত। তারা ফিরে আসলে বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বাস্তবায়ন অতীব জরুরি। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন বলেছেন- বঙ্গবন্ধু আজ এবং আজীবন প্রাসঙ্গিক থাকবেন। তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতান্ত্রিক দর্শন আমাদের জন্য আলোর দিশারী। তখনকার বিখ্যাত বিশ্বনেতাদের মতেÑ বঙ্গবন্ধুর বিদায় সারা পৃথিবীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ফিলিস্তিনী, ভিয়েতনাম, মোজাম্বিক, কম্বোডিয়ার মুক্তিসংগ্রামীদের অন্যতম সমর্থক ছিলেন তিনি। সিআইএ-র নথিগুলো উন্মোচনের পর থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা বোঝা যায়। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিল পাকিস্তানের পরাজয়। পাকিস্তান এই গ্লানি থেকে মুক্ত হতে পারবে না। তারা সবসময় বাংলাদশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলকে সরকার থেকে উৎখাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা তালেবানদের সহায়তা করছে। তাই পাকিস্তানি রাজনীতিকে কখনও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যায় পাকিস্তানের জড়িত থাকা স্পষ্ট। খুনী জিয়া, খুনী মোশতাকÑ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল। জিয়া ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান চর হিসেবে কাজ করার জন্য, বাংলাদেশের জন্য নয়।’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি-এর সাধারণ সম্পাদক রাজনীতিবিদ ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু অনন্যভাবে রাজনৈতিক দর্শনের ব্যবহারিক প্রয়োগ করেছিলেন পর্যায়ক্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে। ৭ই মার্চের ভাষণে তাঁর দর্শনের উপাদান বিদ্যমান ছিল। ’৭২-এর সংবিধানে তাঁর দর্শন প্রতিফলিত হয়েছিল। সংবিধানের চার মূলনীতিÑ জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা করেছিলেন সংসদে। তিনি বলেছিলেন, এই চার মূলনীতি যদি আমার জীবদ্দশায় বাস্তবায়িত না হলেও আমার মৃত্যুর পর বাস্তবায়িত হলে আমার আত্মা শান্তি পাবে।ফজলে হোসেন বাদশা এমপি আরও বলেন, ‘২০০৪ সালে রাজশাহীতে শায়খ আবদুর রহমান কাবুলে গিয়ে তালেবানদের সাথে কথা বলে বাংলাদেশে জঙ্গী কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে তালেবানদের চলাচল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তালেবানি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র স্বাভাবিকভাবে দেখা হলে বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হবে। এসব রোধে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বাস্তবায়ন ও চর্চা একমাত্র উপায়।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজনীতিবিদ শিরিন আখতার এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শনের মূল বিষয় মানবতা। তিনি চার মূলনীতির আলোকে বাংলাদেশকে সাজাতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম নীতি ছিলÑ ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ বাস্তবায়ন করার কুচেষ্টা করেছে। এখনও ধর্মের নামে অপরাজনীতি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, দুর্নীতি-লুটপাট রাষ্ট্রে চলছে। বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতি বাস্তবায়নের জন্য এসব রোধ করতে হবে।’

নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য কথাশিল্পী শহীদসন্তান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের জন্য ১৫ আগস্ট ভুলে থাকা সম্ভব না। এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর আসার কথা ছিল। আমি সেখানে অংশগ্রহণের উত্তেজনায় ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকারীদের পরবর্তী বক্তব্য থেকে সহজেই বোঝা যায়Ñ তাদের উদ্দেশ্য ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আমরা ধর্মকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়িত হবে না। আমি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের ভয়াবহতার সাক্ষী। ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশে থাকলে আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব না। অলিখিতভাবে হেফাজতে ইসলাম এখন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় রাজনৈতিক দল। তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মের নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় উগ্রতার বীজ বপন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনই আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

বিশিষ্ট চলচ্চিত্রনির্মাতা নাট্যব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘১৫ আগস্টের ঘটনা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অপঘাত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার চেষ্টা। বঙ্গবন্ধু তাঁর বিভিন্ন আন্দোলন ও রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন পর্যায়ে বাঙালির আত্মপরিচয় ও জাতির নৈতিক চরিত্র আত্মপলোব্ধি করেছেন ও পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করেছেন। যার প্রতিফলন ’৭২-এর সংবিধান। ১৫ আগস্টের পরে ধারাবাহিকভাবে যে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অপঘাত হয়েছে তা থেকে আমরা এখনও ফিরে যেতে পারি নি। সমাজে ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তার ঘটেছে। রাজনৈতিক ভাবে আমাদের এই ধর্মীয় মৌলবাদ, উগ্রবাদ প্রতিহত করতে হবে। দরকার হলে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে আমরা তা করেছিলাম এবং বিজয়ী হয়েছিলাম।’

নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘দেশের মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় জঙ্গীবাদের বিস্তার বন্ধ না করতে পারলে বাংলাদেশেও আফগানিস্তানের মত ঘটনা ঘটবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।’

নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময় বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের নিকট বঙ্গবন্ধু হত্যার সকল প্রেক্ষিতগুলো বিশ্লেষণ করে তা তাদের মাঝে ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী মৌলবাদী দর্শনধারীদের বিপক্ষে আমাদের শক্ত প্রতিপক্ষ তৈরি করে তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে।’

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সম্পর্কিত কমিটির সদস্য ফয়সাল হাসান তানভীর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৬ বছর পরেও ঘাতকদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যার প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা জ্ঞাপনের জন্য বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের উল্টোদিকের রাস্তায় খুনিদের প্রতিকৃতি সংবলিত ঘৃণা স্তম্ভ স্থাপন করা প্রয়োজন, যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাতির পিতার হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে পারে।সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য সর্বক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণের আহ্বান জানান।
সংবাদদাতা

You might also like