জাফলংয়ে টিকিট ব্যবস্থা নিয়ে দোলাচল
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
ব্যুরো প্রধান,সিলেট অফিসঃ সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে টিকিট ব্যবস্থা থাকছে কি-না সে বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। এদিকে, জাফলংয়ে প্রবেশ ফি সাময়িকভাবে বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এমন বাস্তবতায় পুরো ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।গেলো বছর সেপ্টেম্বরে জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাফলংয়ে প্রবেশে পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা হারে টিকিট ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে, গত ৫ই মে টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবকরা হামলা চালালে, শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।যদিও, নিয়ম মেনেই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান ফোনোলাপে বলেন, ‘আমরা এখানে যা করেছি, তা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের উপর নির্ভর করেই করেছি এবং এখন পর্যন্ত যেভাবে হওয়া উচিৎ ঠিক সেভাবেই হচ্ছে। এটা আমার কাছ থেকে টিম যেভাবে যেখানে দেখতে চাইবে তারা দেখতে পারবে।’
এদিকে, জাফলংয়ে আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতরা। সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে আমার মনে হচ্ছে যে, সিলেটের প্রতি পর্যটকরা বিমুখ হয়ে যাবে। কারণ হলো, কোনো মানুষ যদি বেড়াতে আসে, সে প্রথমেই চিন্তা করে তার নিরাপত্তার বিষয়টি।এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, যদি কোনো স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগপ্রাপ্ত হন, তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে, যথাযথ বুঝিয়ে তাদের তৈরি করতে হবে। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়ার আগে অবশ্যই তাদের প্রাক-পরিচিতি যাচাই করা উচিৎ।জেলা প্রশাসক জানালেন, জাফলংয়ে প্রবেশ ফি’র বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির পরবর্তী সভায়। সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেন, ‘যেহেতু এটা ব্যবস্থাপনার দিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার থেকে শুরু করে আর অনেকগুলো ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে। সে কাজগুলো করা হচ্ছে। আমরা পরবর্তী কমিটির সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
সব কিছুর উর্ধ্বে জাফলংয়ে টিকিট ব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার শিগগিরই স্থায়ী সমাধান চান স্থানীয়রা।