জাফলং থেকে সাদা পাথর একসাথে দেখা যাবে ২৩টি স্পট প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি হচ্ছে সড়ক
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটকে বলা হয় প্রকৃতি কন্যা। পাহাড়-টিলা সবুজের সমারোহ, নূড়ি পাথরের স্বচ্ছ জলরাশি, পাথরের সাথে গড়িয়ে পড়া পানি, চা-বাগানের দিগন্ত জোড়া সবুজের ভান্ডার, মায়াবী ঝর্ণার গড়িয়ে পড়া পানির মনোমুগ্ধকর সকল দৃশ্যই দেখা যায় সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নির্ভর প্রতিটি পর্যটন স্পটে। এই সিলেটেই রয়েছে বাংলাদেশের মিঠা পানির একমাত্র জলাবর্ণ রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট। প্রতিদিন সড়ক, নদী কিংবা আকাশপথে সিলেট বেড়াতে আসেন হাজার, হাজার পর্যটক দর্শনার্থী। আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সিলেটে পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে আরো গতিশীল করা হচ্ছে। নান্দনিক রূপে ঢেলে সাজাতে সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা জানান, সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, পান্তুমাই, রাতারগুল প্রভৃতি পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ান আগন্তক দর্শনার্থীরা। এ পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসাবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সিলেট-৪ আসনের এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের দিক-নির্দেশনায় সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার প্রেরিত ২০২৩ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাফলং থেকে কোম্পানীগঞ্জ সাদাপাথর পর্যন্ত একটি দীর্ঘ সড়ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এলজিইডি’র মাধ্যমে উক্ত সড়ক দ্রুত তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিসি সম্মেলনে এ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সম্বলিতপত্র উপ-সচিব নাজমিন ওয়ারেছ স্বাক্ষরিত স্মারক নং-৩৫.০০.০০০০.০৫.১৪.০২১.১৯-৯০, তারিখ ঃ ২৪/০৪/২০২৩ইং সিলেট প্রশাসনের হস্তগত হয়।
সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটক দর্শনার্থীদের ভ্রমণকে সহজতর এবং আরামদায়ককরণে সরকারপ্রধান নির্দেশিত সড়কটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটকরা একটি সড়কে যাতায়াত করে ২ দিনে ২৩টি পর্যটনস্পট ঘুরে দেখতে পারবেন। পর্যটনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পরিবর্তনের একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে সড়কটি। জাফলং থেকে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পথিমধ্যে পান্তুমাই, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, শ্রীপুর, শাপলা বিল, লাক্কাতুড়া চা বাগানসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যাবে। এই সড়ক নির্মাণের ফলে পর্যটনশিল্প বিকশিত হবে। পর্যটনশিল্পে সরকারি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কর্টেজ, রিসোর্ট, পার্কসহ বিভিন্ন পযর্টন স্থাপনা গড়ে উঠার পাশাপাশি অত্রাঞ্চলের স্থানীয় মানুষের কর্ম সংস্থানের বিশাল সুযোগ তৈরি হবে।এ ব্যাপারে কথা হলে গোয়াইনঘাটের ইউএনও তাহমিলুর রহমান বলেন, সিলেটের পর্যটন ব্যবস্থাপনাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে সরকারের ধারাবাহিক উদ্যোগের আওতায় জাফলং থেকে কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে একটি সড়ক দিয়েই ২ দিনে ২৩টি স্পট ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটক দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি স্থানীয় একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যে জড়াতে পারবেন। একটা বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে অত্রাঞ্চলের জনসাধারণের কাছে উক্ত সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।