জামায়াতের কর্মকান্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আনা আবেদনের শুনানি ৩১ আগস্ট
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আনা আবেদনের শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।এ আবেদনের সঙ্গে জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের ওপরও শুনানি ওইদিন হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তানিয়া আমীর।আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, আজ আবেদন দুটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ২২ নম্বর ক্রমিকে ছিল। ক্রম অনুসারে শুনানির জন্য দাঁড়ালে আদালত বলেন, আজ শুনানি হবে না। তিনি আগামী ৩১ আগস্ট তারিখ দিয়েছেন।তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন আবেদনকারী হয়ে হাইকোর্টে রিটটি করেন। জামায়াতের কর্মকান্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটকারীরা আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করার পর গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার কোর্ট আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সে ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট আবেদন দুটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। এর মধ্যে ৪২ ব্যক্তি আবেদন দুটিতে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন। এই ৪২ ব্যক্তির মধ্যে আছেন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অধিকার কর্মী, আইনজীবী।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়। এর পরের বছরই বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। এ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রুলটি যথাযথ (এ্যাবসিলিউট) ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াত ইসলামী আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে আবেদন করলে ওই বছর ৫ আগস্ট তা খারিজ হয়। পরে ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। সে আপিলে পক্ষভুক্ত হয়ে জামায়াতের নিবন্ধনের পক্ষে গত ১ আগস্ট আবেদন করেন ৪৭ ব্যক্তি।হাইকোর্টের রায়ের পর ওই সময় বিএনপির জোটের শরিক দল জামায়াতের নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দশম, একাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মার্চে জামায়াতের জন্য বরাদ্দ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।