জামালগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের পক্ষে আব্দুন নূর আফিন্দী, ফজলুল হক গোলাপ ও কামাল মিয়া সহ বেশ কয়েকজন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে করোনায় স্কুল বন্ধেও টিফিনের টাকা আদায়সহ অন্যান্য অনিয়মের বিরুাদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পর বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে উপজেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। অভিযোগের পর জামালগঞ্জের ইউএনও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। জানা যায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ চক্রবর্তীর নির্দেশে বিদ্যালয়ের ফি আদায়ের রশিদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিফিন (জলযোগ) খরচ বাবত ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অভিযোগ উঠে। অনেক শিক্ষার্থী না খেয়েও টিফিনের টাকা নেয়ার কারন জানতে চাইলে তারা বলেন এত প্রশ্ন না করে টাকা দাও।

গত বছরের অক্টোবর/নভেম্বর মাসেই নবম শ্রেণীর রেজিষ্টেশনের সময় অত্যন্ত কৌশলে শিক্ষার্থদের নিকট থেকে এই টাকা আদায় করা হয়েছে। করোনাকালিন সময়ে অসংখ্য অভিভাবকরা যেখানে পরিবার নিয়ে চলতে হিমসিম খাচ্ছেন, সেখানে অতিরিক্ত টাকা দিতে তারাও রীতিমতো চরম কষ্ট শিকার করতে হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগে প্রকাশের পর তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড়উঠে। কেন টিফিনের টাকা আদায় করা হয়েছে তদন্ত করে টাকা ফেরত ও ব্যবস্তা নিতে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগের কপি, বিভাগীয় কমিশনার (সিলেট), অঞ্চলিক শিক্ষা প্রধান (ডিডি), জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে অভিযোগককারী আব্দুন নূর আফিন্দী বলেন, জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুল কবির মঙ্গলবার অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছেন।

জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ তালুকদার এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব করেননি।জামালগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুল কবির এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত দেব বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে অনিয়মের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। যে টাকা নেওয়া হয়েছে তা ফান্ডে রয়েছে। তার পরও খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

You might also like