জামালগঞ্জ-সাচনাবাজার দিয়ে সুরমা সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ ‘সাচনা-জামালগঞ্জ ব্রিজ কার জন্য? যদি জনগণের জন্য হয় তা হলে সঠিক জায়গায় নির্মাণ চাই’ এই দাবিতে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্চলিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সুপার সিক্সটি’র আয়োজনে ১৫ মে সোমবার দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট সমাজসেবী কমরেড তারেক আল-মঈন।সুপার সিক্সটির সাচনাবাজার ইউনিয়ন টিম লিডার তোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সমন্বয়কারী এম এইচ তাহের আহম্মদ, জামালগঞ্জ উপজেলা প্রতিবন্ধী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম তালুকদার, সেতুবন্ধন সমাজ কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা নূর আহম্মদ ও সভাপতি রুবেল আহমদ, সহ-সভাপতি তারেক আহম্মদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সোহেল, ফতেহপুর সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মতিউর রহমান, সুপার সিক্সটি ফেনারবাঁক ইউনিয়ন টিম লীডার আবতাহিনুর নুর খান উদয়, রাহাত আলম প্রমুখ।

মানববন্ধনে জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের সেতুবন্ধন সমাজকল্যাণ পরিষদ, ফতেহপুর সমাজকল্যাণ পরিষদ, স্বপ্ননীড় সমাজকল্যাণ পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, জামালগঞ্জ- সাচনাবাজার এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের দাবি নিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। নিকট অতীতে বেশ কয়েক দফা মাটিপরীক্ষা করা হয়েছে সাচনাবাজার-জামালগঞ্জ খাদ্য গুদামের পাশের তেলিয়া গ্রাম এলাকা ও সাচনাবাজার মফিজ নগর হয়ে শাহাপুর বাঁধ বাজারে। এখন নতুন করে মাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে সাচনাবাজার থেকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে; উত্তর কামলাবাজ-দক্ষিণ কামলাবাজ গ্রাম হয়ে। কিন্তু জামালগঞ্জবাসীর দাবী জামালগঞ্জ উপজেলা সদর- সাচনাবাজার দিয়ে সুরমা নদীতে ব্রিজ স্থাপন করা হউক। তা না হলে; জনসাধারণের দীর্ঘদিনের দাবি পুরণ ভেস্তে যাবে। স্থান নির্ধারণে ভুল হলে সরকারের কোটি-কোটি টাকা ব্যয়ে এই ব্রীজ তৈরীর কোন সুফল পাবেনা উপজেলাবাসী। কামলাবাজ দিয়ে ব্রীজ তৈরী হলে, বিশেষ করে উপজেলার বৃহৎ জনগোষ্ঠী ফেনারবাঁক, ভীমখালী, সাচনা বাজার, বেহেলী ও আংশিক সদর ইউনিয়নগুলোর (৫- ইউনিয়নবাসী) জনসাধারণের সেতুবন্ধন হবে না। তাদের প্রতিনিয়ত চলাচলে ও মৌলিক কাজে কোন উপকার পাবেননা। মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পুরণে উপজেলাবাসী সদর শহরে ও সাচনা বাজার সুরমা নদীতে ব্রীজ তৈরীর মাধ্যমে সেতুবন্ধন চায়।

উপজেলার হাজার-হাজার মানুষ প্রতিদিন খেয়া নৌকায় নদী পাড়াপাড় হন সাচনাবাজার-জামালগঞ্জে। এতে করে মানুষের জীবনের চরম ঝুঁকি থেকে যায়। জনগণের লাখ-লাখ টাকা যাচ্ছে সরকারের কোষাগাড়ে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সকাল বিকাল, বিশেষ করে বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হয়। জামালগঞ্জ-সাচনাবাজারে ব্রীজ নির্মাণ হলে সুরমা নদী পাড়াপাড়ে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু দুই কামলাবাজ দিয়ে ব্রীজ তৈরী হলে নদী পাড়াপাড়ে জামালগঞ্জবাসীর আ-জীবন খেয়া পাড়াপাড়ের চরম দুর্ভোগ আর দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবেনা।একনেকে ব্রীজটি পাশ হওয়ায়, উপজেলাবাসী স্বপ্ন দেখেন, হয়তো এক দিন ব্রীজ তৈরী সত্যি হবে। এতে সরকারের যথাযত কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।যদি দুই কামলাবাজ দিয়ে ব্রিজ হয়, তা হলে কোন দিনও জামালগঞ্জবাসী তেমন কোন উপকৃত হবে না। বিশেষ করে- উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, স্বাস্থ্যসেবা ও হাট-বাজারে নিত্য দিন যাতায়াতে স্থানীয়দের উৎপাদিত পন্য পরিবহনে বিড়ম্বনায় পড়বে উপজেলাবাসী। এ সব বিভিন্ন কারনে জনগনের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনায় “জামালগঞ্জ-সাচনা বাজার সুরমা সেতু” নির্মানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি ও সুনজর প্রত্যাশা করছে জামালগঞ্জের লাখো মানুষ।

You might also like