জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবিতে সুনামগঞ্জে নাগরিক সমাবেশ

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবিতে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার নিলাদ্রিতে এক নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নিলাদ্রী লেকের পাড়ে হাউস, ক্লিন, বিডব্লিওজিইডি’র যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে ছাত্র, তরুন ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।হাউসের নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক এন্দ্র সলোমর, অনির্বান মহিলা সংঘের সভাপতি শিল্পী বেগম, প্রভাষক ফজলুল করীম সাঈদ, গাজী আফজাল, পরিতোষ বর্মণ, সলোমন ম্র, নুয়েল দিব্রা, জেমস, খোরশেদ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বব্যাপী নতুন বাস্তবতা। এই গ্রীন হাউজ গ্যাস নি:সরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আজ ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। যা আমাদের পৃথিবীর মানবজাতিসহ গোটা জীবজগতের অস্তিত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিশ্বে মোট গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের প্রায় ৭৫-৮০% শতাংশই করে জি-২০ গ্রুপের সদস্য দেশগুলো। তাই কার্বন নিঃসরণ এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা হ্রাসকরণে জি-২০ দেশগুলোর ভূমিকাই সর্বাধিক। জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হিসাবে বাংলাদেশের মত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে এসব দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমতাবস্থায় আসন্ন জি-২০ সম্মেলন নবায়নেযাগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি জোরালো ভাবে তুলে ধরতে হবে। আমাদের দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস, কয়লা ও ডিজেল ভিক্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। আমাদের দেশের জ্বালানি খাতের ৮০ শতাংশ বাণিজ্য এই জি-২০ ভুক্ত বিশেষত এশিয়া অঞ্চলের ৬টি দেশের সাথে। জি-২০’র অন্তর্ভূক্ত এসব দেশ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই চাইবে আমরা তাদের কাছ থেকে কয়লা-গ্যাস ডিজেল-ফার্নেস অয়েল আমদানি করি যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। আমরা চাই দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ুক, কিন্তু তা হতে হবে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি। তাই এসব দেশের প্রতি আমাদের জোড় দাবি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

You might also like