জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন-স্মারকলিপি সিলেটে বিআরটিএ’র ২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চায় পরিবহন শ্রমিকরা

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বিআরটিএ সিলেট সার্কেল’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) রিয়াজুল ইসলাম ও মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল বারীকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।২০ মার্চ সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।গত বছরের ২ অক্টোবর মেট্রো আরটিসির সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তের আলোকপাত করে বক্তারা বলেন, ‘সিলেট জেলার ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশনকৃত সিএনজি অটোরিকশার মালিকগণ মেট্রো ঠিকানায় বদলি হতে পারবেন না।’ কিন্তু এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) রিয়াজুল ইসলাম। তিনি প্রতিটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে ৫০/৬০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণপূর্বক এমআরটিসির সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে মালিকানা বদলি করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়াতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী মো. ময়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.মাহবুব মিয়া মবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাছনাত, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ, সদস্য সাহেদ আহমদ, সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সভাপতি শাহ দেলোয়ার হোসেন, অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, থ্রি হুইলার শ্রমিক ইউনিয়ন, অটো টেম্পু অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন উপ-কমিটির নেতৃবৃন্দ।মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ‘বিআরটিএ একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অবৈধ অর্থ উপার্জনের অসৎ উদ্দেশ্যে এই ২ কর্মকর্তা বেমালুম ভুলে গেছেন তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা। তারা টাকার মোহে নীতি নৈতিকতা, বিধিবিধান উপেক্ষা করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সেবাগ্রহিতার সাথে দুর্ব্যবহারের কারণে মর্যাদাকর এই প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুন্ন হচ্ছে। আনীত অভিযোগ সম্পর্কে বিআরটিএ কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করেননি।

You might also like