জৈন্তাপুরের প্রবল স্রোতে নৌকাডুবির ঘটনায় যুবক নিখোঁজ টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সিলেট এবং সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট অফিস থেকেঃ টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সিলেট এবং সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়সহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সিলেটের জৈন্তাপুরের নয়াগাং নদীর শুক্কুরের ভাঙ্গা নামক স্থানে প্রবল স্রোতে নৌকা ডুবির ঘটনায় এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। সিলেট জেলা সদরের সাথে গোয়াইনঘাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের সাথে প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় পানিবন্দী লোকজন বিপাকে পড়েছেন।জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, জৈন্তাপুর উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সারী ও বড় নয়াগং নদীর পানি বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারী-গোয়াইন বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল শনিবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, গত ৪ দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নিজপাট, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার। বন্যায় আটকে পড়া লোকজনকে নৌকা অথবা ভেলায় করে উঁচুস্থানে আশ্রয়ের জন্য ছুটতে দেখা গেছে ।

বন্যা কবলিত এলাকা নিজপাট ইউনিয়নের মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, মোরগাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মাস্তিং, হেলিরাই, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মুক্তাপুর, বিরাইমারা, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, কাটাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১নং লক্ষ্মীপুর, ২নং লক্ষ্মীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, কাঠালবাড়ী, নলজুরী হাওর, বালিদাঁড়া, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ গ্রামসমুহের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, তিনি বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন। পানিবন্দীদের সহায়তার জন্য স্থানীয় মন্ত্রীসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন দেখা দিলে আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হবে।এদিকে, গতকাল সকাল ১১টায় বড় নয়াগাং নদীর শুক্কুরের ভাঙ্গা নামক স্থানে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ নৌকা আরোহী প্রবল স্রোতে তলিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত দুই শিশুসহ ৪ জনকে উদ্ধার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ গড়েরপার গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৮)’র সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নৌকাডুবির খবর পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা জয়নাল আবেদীন, ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম, থানার পুলিশ অফিসারসহ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফায়ার সার্ভিসের সদস্য নিয়ে তারা নিখোঁজ আলমগীরের সন্ধান চালাচ্ছেন।ইউএনও জানান, বন্যা প্লাবিত এলাকার খবর রাখা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের বন্যা পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধার হওয়া শিশুসহ বাকীদের জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা জানান, টানাবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ভেসে গেছে পুরো গোয়াইনঘাট উপজেলা। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ধানি জমি। ইতোমধ্যে সিলেট সদরের সাথে যোগাযোগের উপযোগী সারি-গোয়াইনঘাট রাস্তার বিভিন্ন অংশ পানিতে ডুবে গেছে। এতে সিলেটের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শংকায় রয়েছেন উপজেলাবাসী। উপজেলার পূর্ব জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, রস্তমপুর, ডৌবাড়ী, তোয়াকুল ইউনিয়নসহ সবক’টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষি, মৎস্য খামারসহ ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গোয়াইনঘাট-রাধানগর রাস্তা। পিরিজপুর সোনারহাট রাস্তায় উনাই ব্রীজ নির্মাণকাজ চলার কারণে তৈরিকৃত বাইপাস রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় গোয়াইনঘাট সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন দু’টি ইউনিয়নের মানুষ।
বন্যার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হান পারভেজ রনি জানান, আমাদের হাওর অঞ্চলের বোরো ধান উঠে গেছে। তবে আউশ ধানের বীজতলা নিয়ে শংকা রয়েছে। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে বীজতলা ডুবে ক্ষতি হতে পারে। সর্বোপরি গোয়াইনঘাটের ১০টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ অনেক রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। কিছু কিছু এলাকার আউশধানের বীজতলা ডুবে গেছে। তবে, হাওরাঞ্চলের বোরো ধান শতভাগ কাটা হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, হাওরাঞ্চলের শতভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। কিছু এলাকার আউশধানের বীজতলা ডুবেছে। তবে তা ৫ শতাংশের বেশি হবে না। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের হাওর এলাকার শতভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।

ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, কোম্পানীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা জানান, দোয়ারাবাজারে টানা ৪দিন ধরে অঝোরে বৃষ্টিপাত ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও লোকালয়সহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মাঠে পড়ে থাকা অবশিষ্ট পাকা বোরো ধান। একদিকে শ্রমিক সংকট, অপরদিকে পাহাড়ি ঢলে শঙ্কা কাটছেনা বিপাকে পড়া হাওরপাড়ের ভুক্তভোগী কৃষকদের। সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, চলতি, কালিউরি, ধূমখালি ও ছাগলচোরাসহ বিভিন্ন হাওর, খাল-বিলের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলাবাসী। সীমান্তবর্তী বাংলাবাজার, লক্ষ্মীপুর, বগুলা, নরসিংপুর, সুরমা, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁও ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠঘাট, আউশ জমিতে পানি ঢুকছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে অবশিষ্ট বোরো ফসলের পাশাপাশি রবিশস্য উৎপাদন অনিশ্চিতের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। মাঠ ও গো-চারণ ভূমিতে পানি উঠায় গো-খাদ্য সংকটসহ মৎস্য খামারিরাও রয়েছেন চরম শঙ্কায়। লক্ষ্যণীয় গত বছর চার দফা বন্যায় ভেসে যায় শতাধিক খামারের কোটি কোটি টাকার মাছ, মাছের পোনা ও রেনু। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
দোয়ারাবাজার ইউএনও দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, পানি বাড়লেও কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
নগরীর বঙ্গবীর রোডে হাঁটুপানি এদিকে আমাদের নগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নগরির বঙ্গবীর রোড ও আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ওই এলাকার বাসা-বাড়িতে ও দোকানে পানি ঢুকেছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছে এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও এলাকাবাসীকে।
গত ৪/৫ দিনের দিনের টানা বর্ষণে ধরে নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার বঙ্গবীর রোড ও তার আশপাশ এলাকায় এ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বঙ্গবীর রোড, লাউয়াইসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে বঙ্গবীর রোডের বেশ কিছু এলাকা, তাছাড়া লাউয়াই আবাসিক এলাকার বেশ কিছু সড়ক ও বাসা-বাড়িতেও ঢুকেছে বৃষ্টির পানি। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন এলাকাবাসী। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে যাতায়াতকারীদের।হাঁটুপানি ডিঙ্গিয়ে যাবার সময় অনেক সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জলাবদ্ধ সড়কের মাঝখানে। ফলে পানিতে নেমে ড্রাইভার ও যাত্রীদেরকে ঠেলে ঠেলে গাড়ি নিয়ে যেতে দেখা গেছে।তাছাড়াও, জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পথচারীদের ভিজিয়ে দিচ্ছে সড়কে চলাচলকারী দ্রুতগতির যানবাহনগুলো। তারপরও বাধ্য হয়ে ব্যস্ত সড়কে চলতে হচ্ছে জনসাধারণকে।লাউয়াই এলাকার বাসিন্দা চাকুরীজীবি কামাল আহমদ বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই এই সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ যেনো দেখার কেউ নেই। বঙ্গবীর রোডে ড্রেন নির্মাণ কাজ চললেও সড়কের উপর নির্মাণসামগ্রী রাখার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ড্রেনের কাজ চলমান থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, কাজ শেষ হলে আশা করা যায় আর এই সমস্যা থাকবে না।সাহেবের বাজারে ভূমিধ্বসঃ পরিদর্শনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার

জেলা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নে সাহেবের বাজারের রামপুর ও কোনাটিলা গ্রামে ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধ্বসে কমপক্ষে ১৪টি বাড়িঘরের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে পরিবারগুলো। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে টিলাধ্বসের সূত্রপাত। তবে বেশীমাত্রার বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি টিলা ধ্বসে পড়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিলাধ্বসে আব্দুল খালিকের পাকা ঘর ভেঙে ঘরের ভিতরে মাটি এসে পড়েছে। এতে আব্দুল খালিকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জাহেদ মিয়া, আলকাছ মিয়ার মাটির ঘরের উপর টিলা ধ্বসে সম্পূর্ণ ঘর ভেঙে গেছে। নওশাদ মিয়ার টিনের ঘর ভেঙে টিলার মাটি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে ১৪টি ঘরের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।খবর পেয়ে শনিবার (১৪ মে) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেট সদরের ইউএনও নুসরাত আজমেরী হক। এ সময় তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ঘর থেকে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরন মাহমুদ, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনছার আলী।এ সময় ইউএনও নুসরাত আজমেরী হক জানান, ভূমিধ্বসের খবর পেয়ে সাহেবের বাজার এলাকায় দেখতে এসেছি। এখানে বেশ কয়েকটি ঘরের ক্ষতি হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে এই এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছি। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

You might also like