জৈন্তাপুরে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবার পেলো ২০ হাজার টাকা করে
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো.মজিবর রহমান। ৮ জুলাই শনিবার সকালে মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুঘর্টনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসসহ জেলা প্রশাসনের একটি টিম। এ সময় জৈন্তাপুরের ইউএনও আল-বশিরুল ইসলাম, সিলেট বিআরটিএ কর্মকর্তাবৃন্দ, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দাফনকাজ সম্পন্ন করতে প্রদান করার কথা জানান।জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, ৭ জুলাই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার বড়খলা গ্রামের মৃত খুর্শেদ আলমের ছেলে মুসদ আলী (৫০), শ্রীখেল গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে নূর উদ্দিন (৫৫), বারগাতি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৫০), ফরফরা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে মো. কামাল (২৫) ও দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে মতিন উরফে কাছাই (৪৫)। ঘটনা নিশ্চিত করে দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া জাফলংগামী একটি বাস রাত ১০টার দিকে দরবস্ত এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ইজিবাইকে থাকা ৭ যাত্রীর মধ্যে ৫ জনই ঘটনাস্থলে মারা যান। এ দুর্ঘটনায় কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।