টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শেষ আটে সুইজারল্যান্ড

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

স্পোর্টস ডেস্কঃ ম্যাচে তখন টান টান উত্তেজনা। রোমাঞ্চকর ৯০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র হলো। অতিরিক্ত সময়ের খেলাতে অবশ্য কোনও দল গোল করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। সেখানে সুইজারল্যান্ড পাঁচটি শটেই লক্ষ্যভেদ করেছে। বিপরীতে চারটি শটে লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে ফ্রান্স। পঞ্চম শট নিতে এসে এমবাপ্পে গোল করতে ব্যর্থ! পিএসজির এই তারকার শট সুইসদের গোলকিপার সমার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে দলকে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে গেলেন! ৫-৪ স্কোরলাইন রেখে বিদায় নিতে হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। আগামী শুক্রবার সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ড মুখোমুখি হবে স্পেনের।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে সুইজারল্যান্ড তখন এক গোলে এগিয়ে। ফ্রান্স চেষ্টা করেও গোল শোধ দিতে পারছিলো না। ততক্ষণে ম্যাচে বিরতি পড়েছে। আর বিরতির পর বুঝি চমক অপেক্ষা করছিলো। সুইসরা পেনাল্টি মিস করলো! এরপরই মাত্র তিন মিনিটের ঝলকে সুইজারল্যান্ডকে পিছিয়ে দিলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। করিম বেনজেমা করলেন জোড়া গোল। এরপর পল পগবাও লক্ষ্যভেদ করলেন। শেষের দিকে সুইসরা আবারও জাদু দেখালো। আরও দুটি গোল শোধ দিয়ে ম্যাচ নিয়ে গেলো অতিরিক্ত সময়ে।ম্যাচের ১৫ মিনিটে সুইজারল্যান্ড প্রথম এগিয়ে যায়। জুবেরের মাপা ক্রসে সেফোরোভিচ হেডে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন। গোলকিপার লরিস ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।গোল শোধে প্রথমার্ধে ফ্রান্সের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিরতির পর ৫২ মিনিটে সুইজারল্যান্ড ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে। ফাউলের কারণে পেনাল্টি পায় সুইজারল্যান্ড। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বেজে উঠে। রড্রিগুয়েজের শট গোলকিপার লরিস ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি।

৫৭ ও ৫৯ মিনিটে করিম বেনজেমা ঝলক! প্রথমটিতে এমবাপ্পের পাসে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা এই স্ট্রাইকার।পরের গোলটিতেও এমবাপ্পের অবদান। এমবাপ্পের ব্যাক হিল থেকে গ্রিজমানের ক্রসে বেনজেমা পোস্টের একদম সামনে থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।৭৫ মিনিটে ফ্রান্সের স্কোরলাইন হয় ৩-১। পল পগবা বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে আর একটু জাল ছিঁড়েই ফেলছিলেন!সুইসরা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। সেই সেফেরোভিচ ৮১ মিনিটে আবারও হেডে লক্ষ্যভেদ করেন।নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হতে কিছুক্ষণ বাকি। ঠিক তখনই সুইসরা হার এড়ায়। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বক্সে ঢুকে গারানোভিচ জোরালো শটে গোলকিপার লরিসকে হারান।

You might also like