টাওয়ার হ্যামলেটসে বর্ণবৈষম্য দূর করতে কমিশন গঠন করলেন মেয়র জন বিগস: নেতৃত্ব দেবেন কাউন্সিলর আসমা বেগম

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

টাওয়ার হ্যামলেট্সঃ টাওয়ার হ্যামলেটসে কীভাবে বর্ণ বৈষম্য দূর করা যায়, তা নিয়ে এক ভার্চূয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে মেয়র জন বিগস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডের ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ ও নিগ্রহের বিরুদ্ধে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে সোচ্চার করেছে।কৃষ্ণাঙ্গ,এশীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগত পটভূমির লোকেরা যে বিদ্যমান অবিচারগুলো সহ্য করে চলেছে, তা থেকে উত্তরণে কী কী করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের আরো নজর দেয়ার ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে মানুষের বর্ণবাদ বিরোধী বর্তমান মনোভাবের সুযোগটি নেয়া উচিত।

আলোচনা সভার প্রেক্ষিত তুলে ধরে মেয়র বলেন, এই ইতিবাচক বৈঠকের পর বারার সকল বাসিন্দার জন্য বৃহত্তর সাম্যতা ও সুযোগ অর্জন নিশ্চিত করতে আমরা কী কী ধরনের বাস্তব ও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন করতে পারি, সেগুলো অনুসন্ধান করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্ব দেবেন ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর আসমা বেগম।

বর্ণ বৈষম্য দূরিকরণে সকল পর্যায়ের মানুষের অভিমত জানার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সভায় মেয়র জন বিগস এবং ডেপুটি মেয়র ও কেবিনেট মেম্বার ফর কমিউনিটি সেফটি, ইয়ূথ এন্ড ইক্যূয়েলিটিজ, কাউন্সিলর আসমা বেগম ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীবৃন্দ, ইয়াং মেয়র, স্বাস্থ্য, পুলিশ, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এই ভার্চ্যূয়াল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সরকারের উপদেষ্টা এবং অপারেশন ব্ল্যাক ভোট এর প্রতিষ্ঠাতা লর্ড সায়মন উলি। তিনি জর্জ ফলয়েডের হত্যা এবং কোভিড-১৯ এর প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেন, যা কালো, এশিয়ান ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সব পর্যায়ের নেতৃত্ব বিশেষ করে তরুণ নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর আসমা বেগম বলেন, আমরা সবাই এটা জানতাম যে জাতিগত বৈষম্য বিদ্যমান, কিন্তু জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস হত্যাকান্ড এই ইস্যূটিকে মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে দিয়েছে এবং আমি আশা করি এটি পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে প্রমাণিত হবে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল রেস কমিশন গঠন করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট। এই কমিশনের লক্ষ্য হবে সত্যিকারের সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য কী ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া যায়, তা চিহ্নিত করতে সকল অংশিদারদের একত্রিত করা।

এই আলোচনা অনুষ্ঠানে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও কমিউনিটি নেতৃত্ব সহ বিভিন্ন ইস্যূ উঠে আসে। স্থানীয় সংগঠনগুলো কীভাবে কমিউনিটিগুলোকে সাথে নিয়ে ব্যবহারিক ও ইতিবাচক সমাধানের লক্ষ্যে একসাথে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।প্রতিটি ইস্যূর ক্ষেত্রেই স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, অন্য বর্ণ জাতিগোষ্টির লোকদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর বিরূপ প্রভাব অব্যাহত রয়েছে অথবা তাদের মধ্যে মুষ্টিমেয় লোকই উন্নত জীবন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।বারার বাসিন্দা, সামাজিক ও ম্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহ সহ সকল সেক্টরের বক্তব্য ও অভিজ্ঞতা গুরুত্বের সাথে শোনা হবে এবং কমিশনের বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই জানানো হবে বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়।

You might also like