টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত ফেনীর মুহুরী নদীর পানি,নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
নোয়াখালী: পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনীর মুহুরী নদীর পানি এসে প্লাবিত হচ্ছে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা। এতে নোয়াখালীর সাতটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।
নতুন করে জেলার আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।এদিকে নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত জেলার আবহাওয়া অফিস রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে সাতটি উপজেলার ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ সব সড়ক, ফসলি মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ। জানা যায়, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ সাতটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে পানিতে ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এছাড়া নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।স্থানীয়রা জানায়, জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করায় মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, অনেক ঘরে হাঁটু পানি, রান্নাঘরেও পানি। পানির কারণে রান্না করতে পারেনি অনেকে। আশপাশের নালায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় অনেক শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জেলার সাতটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় সব ধরনের গ্রামীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বেড়ে নোয়াখালী জেলায় ঢুকতে শুরু করেছে। এরপর লক্ষ্মীপুর হয়ে নেমে যাবে। সকালে বিষয়টি আমাকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে।জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রথমে বৃষ্টির পানিতে নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা সৃস্টি হয় পরে মুহুরী নদীর পানি এসে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এখন এমন অবস্থা যে পানি নামার কোনো সুযোগ নেই। হু হু করে মুহুরী নদীর পানি আসছে।যারা বন্যায় আক্রান্ত তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হবে।