টিকার বুস্টার ডোজ নিলেন বাইডেন
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
যুক্তরাষ্ট্রঃ মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে হোয়াইট হাউসে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নেন তিনি।মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মাত্র একদিন আগে দেশের ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সকল মানুষের জন্য টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিভাগ। মূলত সেই অনুমোদন পাওয়া মাত্রই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এ দিকে বুস্টার ডোজ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন বিরোধীদের দ্রুত টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ এখনো ভ্যাকসিন নিতে চান না। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা টিকার একটি ডোজও গ্রহণ করেননি। এর মাধ্যমে তারা (টিকা বিরোধীরা) দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত করছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।এএফপি জানিয়েছে, সোমবার বিকালে নিজের বাম হাতের জামা গুটিয়ে ফাইজারের তৃতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেন জো বাইডেন। এর মাত্র একদিন আগে দেশের ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সকল মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের অনুমোদন দেয় তার প্রশাসন।
টিকা গ্রহণের পর ৭৮ বছর বয়সী জো বাইডেন কৌতুক করে বলেন, আমি জানি, আমাকে দেখে (বয়স্ক) মনে না হলেও আমার বয়স আসলে ৬৫ বছরের বেশি।বিশ্লেষকদের মতে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সকল মানুষ ছাড়াও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন তারাও এই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া পেশাগত কাজের কারণে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে; এমন ব্যক্তিদেরও বুস্টার ডোজ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো টিকার একটি ডোজও গ্রহণ করেননি। এর ফলে দেশজুড়ে করোনার অতি সংক্রামক শক্তিশালী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৭ শতাংশ মানুষ এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন। যদিও এখনো দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ টিকা গ্রহণ করেননি। তারা মূলত ভ্যাকসিন গ্রহণে অনিচ্ছুক।
উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।