টিসিবির চাল বিক্রি বন্ধ, ৩৭ লাখ কার্ডধারী কোনো পণ্যই পাবে না
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রির তালিকায় চাল ছিল। তবে গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) কোনো স্থানে চাল বিক্রি করেননি টিসিবির সরবরাহকারীরা। টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের পণ্যতালিকা থেকে জানুয়ারি মাসে চাল বাদ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া হাতে লেখা কার্ড পরিবর্তন করে স্মার্ট কার্ড চালুর কারণে জানুয়ারি মাসে অন্তত ৩৭ লাখ কার্ডধারী টিসিবির কোনো পণ্যই পাবেন না।খাদ্য অধিদপ্তর থেকে চাল সরবরাহ না করায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে একটি পরিবার ৩০ টাকা কেজিতে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতো।মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জানুয়ারি মাসে কার্ডধারীরা দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন।২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে টিসিবি প্রতি ফ্যামিলি কার্ডের বিপরীতে ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল সরবরাহ করে আসছিল। খাদ্য অধিদপ্তর এ চাল সরবরাহ করত।
চাল সরবরাহ বন্ধের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে টিসিবির তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর ডিসেম্বর পর্যন্ত চাল সরবরাহ করেছে। জানুয়ারিতে চাল সরবরাহ না পাওয়ায় এ মাসে চাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। চাল পাওয়া গেলে পুনরায় সরবরাহ শুরু হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তর প্রতি মাসে টিসিবিকে ৫০ হাজার টন চাল সরবরাহ করে। তবে এ বরাদ্দের জন্য খাদ্য অধিদপ্তর বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজেটে কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই। ফলে খাদ্য অধিদপ্তর আর চাল সরবরাহ করতে পারছে না। চালের মূল্য পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় সরবরাহ আপাতত স্থগিত রয়েছে।চাহিদা মেটাতে খাদ্য মন্ত্রণালয় খোলা বাজারে বিক্রির জন্য এক হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা এবং চাল আমদানির জন্য তিন হাজার ৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।