টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগে এম এম বিল্ডার্স এর উপর আগেও ছিল নিষেধাজ্ঞা

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি (এনজিএফএফ)-এর পুরাতন যন্ত্রপাতি বিক্রিতে টেন্ডার জালিয়াতির ঘটনায় দরদাতা প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ’র জামানতের প্রায় ৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে এনজিএফএফ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক নোটিশে দেখা গেছে এই প্রতিষ্ঠানটির উপর আগেও নিষেধাজ্ঞা ছিল।ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, ৩ বার টেন্ডার আহবান করেও ফেঞ্চুগঞ্জের ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি (এনজিএফএফ)-এর পুরাতন যন্ত্রপাতি (স্ক্র্যাপ) বিক্রি করতে না পেরে দরদাতা ঢাকার প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ আশ্রয় নিয়েছে ভয়াবহ জালিয়াতির।

টেন্ডার প্রক্রিয়া হিসেবে জামানত বাবদ ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি পে-অর্ডার জমা দেয় তারা। কিন্তু তা ভুয়া প্রমাণিত হয়। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ (এসএসসিএল) এর পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াবুল হোসেন।প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যেই বিসিআইসিতে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং তাদের টেন্ডার প্রক্রিয়ার জামানত বাবদ প্রায় ৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত এই এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার প্রতিষ্ঠানটির উপর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও। সেখানে দেখা যায়, একাধিক কাজ নিয়ে কাজের মান ও সময় ঠিক রাখতে না পারায় গত বছর ১০ মার্চ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ১৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ জারি করে যে তাদের নেয়া কাজ শেষ না করা পর্যন্ত কোন কাজ না দিতে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে এবং সিপিটিইউ কতৃক নির্দেশনা প্রতিপালন করতে তাগিদ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।নিষেধাজ্ঞায় পড়া এই ১৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হচ্ছে এই আলোচিত টেন্ডার কেলেংকারীর এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ।এ ব্যাপারে এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ’র বক্তব্য নিতে মহিউদ্দিনের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে নিজেকে আনিসুর রহমান রিপন নামে পরিচয় দেন। তিনি ঐ কোম্পানির কি দায়িত্বে আছেন এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, অভিযোগ সত্য এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চান না।
এরআগে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কথাও তিনি স্বীকার করে বলেন, এসব নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাচ্ছেন না।