ডিএনসিসিতে পশু কোরবানির জন্য ২৫৬ স্থান নির্ধারণ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ আসন্ন ইদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় পশু কোরবানির জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।সেই নির্ধারিত স্থানে নগরবাসীকে পশু কোরবানি করার আহ্বান জানিয়েছেন করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।শনিবার (২৫ জুলাই) কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে অনলাইন সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।সভায় মেয়র কোরবানি পশুর হাট এবং কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।তিনি বলেন,করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে কোরবানি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং জোরদার করা হবে।ইতোমধ্যে ১০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে।মেয়র বলেন,কোরবানি পশুর বর্জ্য অতি দ্রুত পরিষ্কার করে একটি দুর্গন্ধহীন সুন্দর শহর উপহার দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা চাই একটি সুন্দর কোরবানি পশুর হাট এবং একটি সুন্দর শহর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,কোরবানি ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়া এবং যত্রতত্র কোরবানির পশুর বর্জ্য না ফেলতে জুমার নামাজের খুতবার সময় জনসচেতনতামূলক বার্তা শোনানোর জন্য প্রত্যেক মসজিদের ইমামদের মেয়রের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।তাছাড়া মাইকিং, লিফলেট, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যত্রতত্র পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকা এবং পরিবেশ সম্মতভাবে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিয়ে নির্ধারিত ব্যাগে বর্জ্য সংরক্ষণ করার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।ডিএনসিসির পক্ষ থেকে হালাল উপায়ে পশু কোরবানি করার জন্য ২৫০ জন ইমাম ও ২৫০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণের জন্য অতিরিক্ত জনবল ও যানবাহন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।মাঠ পর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব,আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রস্তুত থাকবে।এজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারী ও হালকা মিলিয়ে মোট ৪৩০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে ১১টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে।

পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রায় ৫১ টন ব্লিচিং পাউডার ও পাঁচ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৯৬০ ক্যান তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে।এছাড়া পরিবেশসম্মতভাবে বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএনসিসি থেকে প্রায় ছয় লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা শুরু হয়েছে।সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই,সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) আব্দুল লতিফ খান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

You might also like