ডয়েচে ভেলের সাবেক সাংবাদিক আব্দুল হাই এর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
জার্মানি: ডয়েচে ভেলের সাবেক সাংবাদিক,ইউরোপীয়-বাংলাদেশি উন্নয়ন সংস্থা বাসুগ জার্মানির প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম আব্দুল হাই মঙ্গলবার জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন।তাঁর পিএইচডি গবেষণা তত্বাবধান করেন বন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ ক্রিস্টোফ আন্টভাইলার এবং ডয়েচে ভেলে একাডেমির শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ ক্রিস্টোফ শ্মিট।আব্দুল হাই এর গবেষণার বিষয় ছিল মিয়ানমারে সাংবাদিকতা শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রভাব। সামরিক শাসন ও আংশিক গণতান্ত্রিক শাসনযন্ত্রের যাঁতাকলে গণমাধ্যমের টেকসই ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন ও ক্ষমতায়ন, গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পশ্চিমা তথা আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপত্রের উপযোগিতা ও যথার্থতা বিষয়ে বিষদ আলোচনা ও সমালোচনা উঠে এসেছে তাঁর এই গবেষণা অভিসন্দর্ভে। এর আগে মিয়ানমারের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা শিক্ষা বিষয়ে তাঁর প্রথম গবেষণা প্রবন্ধ ২০১৪ সালে ডয়েচে ভেলে একাডেমির মিডিয়া জার্নালে প্রকাশিত হয়।
আব্দুল হাই ১৯৭৮ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে যথাক্রমে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর সেখান থেকেই সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।সাংবাদিকতা শুরু ২০০১ সালে ডেইলি স্টার পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে। এছাড়া ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা নিউ নেশন এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে বিটিভি থেকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পান। আর ২০০৭ সালে তাঁকে দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার ও ফেলোশিপ প্রদান করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা প্যানোস। ২০০৮ সালে বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সম্পাদনা করেছেন বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম কমিউনিটি রেডিও হ্যান্ডবুক। এছাড়া সাংবাদিকতার পাশাপাশি বেশ কিছু উন্নয়ন সংস্থার সাথে কাজ করেন – সেগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইউনিসেফ, কেয়ার, সিসিডি-বাংলাদেশ, প্যানোস এবং বিএনএনআরসি অন্যতম।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ এবং টেলিভিশন শাখায় কাজ করেন। ২০১৪ সালে জার্মানির বন ইউনিভার্সিটি, হোকশুলে বন-রাইন-জিগ এবং ডয়েচে ভেলে একাডেমির যৌথ মাস্টার্স প্রোগ্রাম অন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া স্টাডিজ সফলভাবে সম্পন্ন করেন।নেশা আছে কবিতা আর গল্প লেখার। তাঁর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি এবং ফ্রান্স থেকে প্রকাশিত সাহিত্য সংকলন, সাময়িকী, পত্রিকা এবং অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে জার্মান, বাংলা ও ইংরেজি তিন ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন গণমাধ্যম আওয়ার ভয়েস সম্পাদনা করেন। ২০১৬ সালে তিনি দুই সহকর্মীর সাথে যৌথভাবে জার্মানির বার্লিন থেকে হোস্টরাইটার প্রদত্ত বর্ষসেরা পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর থেকে তিনি জার্মান ও বাংলা দুই ভাষায় প্রকাশিত ষান্মাষিক সাময়িকী „সীমান্ত“ বা ডি গ্রেন্সে এর উপ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ওয়ান ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক এ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষা সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জার্মানির বন নগরীতে অবস্থিত হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশন নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানে।তাঁর এই সাফল্যে ডঃ আব্দুল হাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন, বাসুগ চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, সহ-সভাপতি সুমনা বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলী খান, এসপিডি জলিঙ্গেন নগর শাখার সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুবরাজ তালুকদার, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক তামান্না তালুকদার ও রেশমা ইসলাম, বিশিষ্ট শিল্পপতি কারিম উল্লাহ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি বদরুন্নেসা হোসেন সুলতানা ও সংগঠক ডঃ তিয়াসা হোসনে আইয়ুব, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী আব্দুল মুনিম, আওয়ার ভয়েস এর নির্বাহী সম্পাদক, কবি ও আঁকিয়ে মীর জাবেদা ইয়াসমিন ও সেরাজী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী মোঃ খুরশিদ হাসান প্রমুখ।