ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শাক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭।এর জেরে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ভূকম্পন অনুভূত হয়।তবে কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাঈয়্যাৎ কবীর এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) অনুসারে, মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। থাইল্যান্ড এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।আল জাজিরা বলছে, গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও খবর পাওয়া যায়নি।অন্যদিকে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে সেখানকার ভীতসন্ত্রস্ত বাসিন্দারা উঁচু ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পুল থেকে পানিও বেরিয়ে আসতে শুরু করে।এদিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে চীনেও। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৯। চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার তথ্য অনুসারে, সিইএনসি-এর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “ইউনানে কম্পন অনুভূত হয়েছে”।এদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রাথমিকভাবে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর জানিয়েছেন।ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। যার উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইন জেলা থেকে ৩৪ কিলোমিটার পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে যার গভীরতা ১০ কিলোমিটার।