ঢাবি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে’র শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী সম্পন্ন
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউ কে, সংগঠনের সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে অনুষ্ঠিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী সম্পন্ন করেছে। এ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার ও প্রশংসার স্বীকৃতি হিসেবে প্রশংসাপত্র ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে গত ২৮ মে শুক্রবার সন্ধ্যে ৬টায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে কোভিড বিষয়ক ‘জাতীয় বিধি-নিষেধ’ অনুসরণ পূ্র্বক আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের মাঝে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রশংসাপত্র ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন কার্যকরী পরিষদের সৈয়দ আবু আকবর আহমেদ ইকবাল, সৈয়দ হামিদুল হক, মারুফ আহমদ চৌধুরী, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, মোস্তফা কামাল মিলন, রীপা সুলতানা রাকীব, মাহারুন আহাম্মেদ মালা, এস এম মুসতাফিজুর রহমান, এরিনা সিদ্দিক সুপ্রভা প্রমুখ। ১০ জন শিশু ও কিশোর-কিশোরীসহ ২৯ জন সদস্য পরিবারের মিলনে এসময় এক অপরূপ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয় শহীদ মিনার প্রাংগনে।
আয়োজন, সমন্বয় এবং পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও এদিনের পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সংগঠনের সহ সম্পাদক ও চিলড্রেন ইভেন্টের কনভেনর সৈয়দ আবু আকবর আহমেদ ইকবাল। বয়সভেদে দুই বিভাগে রচনার বিষয়গুলো ছিল, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘বাংলাদেশের উদ্ভব/জন্ম’। আর চিত্রাঙ্কনের বিষয়গুলো ছিল বাংলাদেশ ও তার স্বাধীনতা ভিত্তিক।চিত্রাঙ্কনে অংশ নেয় প্রীয়ম পুরকায়েস্থ, তাসফিন সাঈদী, আলমির বেহফার, মালাইকা চৌধুরী, রুবাইয়াৎ রাজ্জাক, জাকারিয়া, ছায়রা, তাহুর সাঈদ, সাজ্জাদ রাজ্জাক ও মেরিয়াম খান।১৩-১৫ বছর বয়সীদের মধ্যকার “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় তাইসির সাঈদ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রিমঝিম ফাতেমা আর তৃতীয় স্থান লাভ করে প্রত্যয় কাজী। ১৬-১৯ বয়সীদের বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় হয় যথাক্রমে মুঈদ খান, নাহিদ খান ও যৌথভাবে প্রত্যয় কাজী এবং সাবা আলম। আর এ বিভগের বিষয়বস্তু ছিল “বাংলাদেশের উদ্ভব/জন্ম”।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, প্রথম বারের মত হলেও, এ ধরণের উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বিচারকসহ পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রাকীব পরিবার নিয়ে এ ধরণের আরো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমাদের কৃষ্টি সংষ্কৃতি ও বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্ব দেবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। ঘরোয়া তৈরী হালকা আপ্যায়ন শেষে, সভাপতি আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটান।