তারেক-জোবায়দার মামলার রায় আজ, সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার।গত ২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ২ আগস্ট দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে আদালত অভিযোগকারীসহ বাদীপক্ষের ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।সমাপনী যুক্তিতর্কের সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, তারা সন্দেহাতীতভাবে তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত।অবৈধ সম্পদ অর্জন ও এর তথ্য গোপন করার জন্য আইনে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১০ বছর ও ৩ বছরের সাজার বিধান আছে।
অবৈধ উপায়ে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, জোবাইদা ও তারের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। তবে জোবাইদার মায়ের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করা হয়।অভিযোগপত্রে তারেক ও জোবাইদাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আছেন এই দম্পতি। গত বছরের ১ নভেম্বর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতরি পরোয়ানা জারি করেন।তারেক রহমান আরও ১৫টি মামলার আসামি, যেগুলোর বেশিরভাগই ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা। তবে জোবাইদাকে শুধুমাত্র এই একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।গত বছরের ২৬ জুন, হাইকোর্ট তারেক ও জোবাইদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে এবং দুর্নীতির মামলা দায়েরকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের রিট আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট।২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তারেক রহমানের। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরও দুটি মামলায় সাজা হয়েছে বিএনপির এই নেতার।