তিন স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয়রা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। এরমধ্যে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনটি স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।সিলেটের ওই স্টেশনেই দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। ভারতীয়দের বাধার মুখে শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশন দিয়েও বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রফতানি।অন্যদিকে, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।আমদানিকারক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথিত অভিযোগ ও ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের দাবিতে গত রবিবার ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন কয়েকশ’ লোক। পরে সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ভারতের করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। গত রোববার থেকে ওই স্টেশন দিয়েও আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক এবং পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন জানান, ইসকন ইস্যুতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সবধরণের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য পরিমাপ নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। আগে শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করতেন। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেওয়ায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, এমন অবস্থায় তামাবিল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ডাউকিতে পাথর ও চুনাপাথর বোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মো. মেস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক তামাবিল স্থলবন্দরের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি সময় সংবাদকে জানান, স্থলবন্দরে অফিস কার্যক্রম চলছে। তবে কোনো আমাদানি ও রফতানি হচ্ছে না।এমন অচলাবস্থায় আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিনই ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে।