তৃণমূল থেকে আসা বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত সৈনিক হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার (১৩ জুন) রাতে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন এ তথ্য জানান।শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।আওয়ামী লীগ হারালো তৃণমূল থেকে উঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন পরীক্ষিত সৈনিককে।তিনি আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে ধারণ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ,গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে ব্যস্ততার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ মে তার নির্বাচনি এলাকার (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধির দায়িত্ব দিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহকে।ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শেখ নাজমুল হক সৈকত জানান, শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ‍মৃত্যু হয়।

তার পিআরও আনোয়ার হোসেন জানান, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শনিবার রাত ১০টায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিউতে ভর্তি করা হয়।শেখ আব্দুল্লাহ ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত ধার্মিক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা আলহাজ্ব মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন।চার ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট মুজিব বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ সেবা করার লক্ষ্যে চাকরির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তার নেতৃত্বে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।এরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।দীর্ঘদিন তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।তিনি জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

You might also like