তৈরি পোশাক শিল্পের নতুন বাজার অনুসন্ধানের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের রফতানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান বাজার সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানের জন্য ইউরোপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (২০ জুলাই) ইউরোপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। পরে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
সভায় ড. মোমেন নতুন নতুন শ্রমবাজার খোঁজার জন্য রাষ্ট্রদূতদের অনুরোধ করেন। তিনি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ স্ব-স্ব দেশের সরকার ও প্রবাসীদের অবহিত করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন তিনি।ভার্চুয়াল সভায় যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন, বেলজিয়াম, গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, জার্মান, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে সাময়িকভাবে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলায় ১২.১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ৫ কোটি মানুষের হাতে নগদ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।ড. মোমেন বলেন, ‘দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইএলও’র নির্দেশনা মেনে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে কিছু দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬৫ লাখ পিস পিপিই রফতানি করা হয়েছে। দেশের ওষুধ শিল্পের অভাবনীয় উন্নতির ফলে করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন ও রফতানি অব্যাহত রয়েছে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক সভায় সংযুক্ত ছিলেন।