দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনাঃ নিহত ১৪

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারের কুতুবপুর এলাকায় ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১১ জন। বাকি ৩ জন হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর মারা যান। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।৭ জুন বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগর থেকে পিকআপে (সিলেট-ন-১১-১৬৪৭) করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণশ্রমিক ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পিকআপটি লালাবাজার ইউনিয়নের কুতুবপুর নামক স্থানে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবহনকারী ট্রাকের (ঢাকা-মেট্রো-ট- ১৩-০৭৮০) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকেই ১১ জনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান।এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজিরবাজারের দুদিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাশ বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর জেনেছি।দূর্ঘটনায় নিহত হলেন যারা
এদিকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। ইতোমধ্যেই নিহতদের সবার নাম-পরিচয় পেয়েছে পুলিশ।এ ঘটনায় নিহত ১৪ জন হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৫), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২)সহ ১৪ জন।

You might also like