দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা মহান বিজয় দিবস পালনে সবাই উদার চিত্তে নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবো:ইউএনও নুসরাত লায়লা নীরা
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত লায়লা নীরা বলেছেন,যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫১তম মহান বিজয় দিবস পালনে আমরা সবাই উদার চিত্তে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবো। গৃহিত প্রতিটি অনুষ্ঠান পালনে কোনভাবেই যেন বিজয় দিবসের ভাবগাম্ভীর্য বা আন্তরিকতায় কোন ঘাটতি থাকে না। তাই উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ব্যাপারে যতœবান হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা কনফারেন্স হলে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও ৫১তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুটি মিয়া, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলকাছ আলী, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজ্জাক হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুল হক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব, সিলেট’র সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ ফুলর, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)’র মোগলাবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হারুনুর রশিদ, দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন, মোগলাবাজার রেবতি রমন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিসেন সামন্তসহ উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি দফতর প্রধান, উপজেলা শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।
সভায় ব্যাপক আলোচনার পর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি কমিটি গঠন এবং বিশেষ দিন দু’টির জন্য কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। গৃহিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় উপজেলা মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ওইদিন ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং উপজেলা চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পূস্পার্ঘ অর্পণ। সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে জমায়েত এবং সকাল সাড়ে ৯টায় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। এতে দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানার পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা স্কাউট ও গার্লস গাইড, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। কুচকাওয়াজের পর পরই শুরু হবে চিত্তাকর্ষক মনোজ্ঞ শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।এবার মহান বিজয় দিবস শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হওয়ায় টানা কর্মসূচির পরিবর্তে দুপুর সাড়ে ১২টায় পবিত্র জুম্মার নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য ২ ঘন্টা বিরতি দিয়ে পুনরায় বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ পর্যায়ে উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, বাংলার সূর্য্যসন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণ-সংবর্ধনা। বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মহান বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় রয়েছে প্রীতি ম্যাচ।অনুষ্ঠানসমুহে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, উপজেলা প্রশাসনসংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারি, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দসহ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ লালনকারী রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার জন্য প্রস্তুতি সভার পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহবান জানানো হয়েছে।