দখল আর দূষণে বিলিন হতে চলেছে বিশ্বনাথের ৩ টি নদী

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এক সময়ের খরস্রোতা বাসিয়া নদী, মাকুন্দা নদী ও চরচন্ডি নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীগুলো প্রভাবশালীদের দখল আর দূষণে বিলিন হয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা আর বোরো মৌসুমে দেখা দেয় পানি সংকট।বাসিয়া নদী বিশ্বনাথ উপজেলা সদর, কালিগঞ্জবাজার ও কাইড়ঘাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিলাসবহুল বিল্ডিং, আধাপাকা ও টিনশেডের দোকানঘর। অথচ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো ভূমিকা রাখা হচ্ছে না। ফলে দিন দিন নদীটি সরু হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে।

অনুরূপ মাকুন্দা নদীটি দখল আর দুষণে বিলিন হয়ে বড় চর দিয়ে রাজাগঞ্জবাজারের পাশে ফুটবল খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। রাজাগঞ্জ বাজার, বৈরাগী বাজার ও সিঙ্গেরকাছ বাজারে নদীর চর দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা দালানকোটা এবং বহুতল বিশিষ্ট ভবন।চরচন্ডি নদী বিশ্বনাথ সদরের বাসিয়া নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে হাবড়া বাজার দিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার অংশে মাকুন্দা নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু নদীটি নতুন হাবড়া, পুরাতন হাবড়া, মাছুখলী বাজার ও নোয়াগাঁও মার্কেট নামক স্থানে দখল করে আলিশান দোকানপাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুফতিরগাঁও ও বিশ্বনাথেরগাঁও নামক স্থানসহ অনেক স্থানে এই নদীর কোনো চিহ্নও নেই। ফলে নদীটি মনে একটি নালায় পরিণত হয়েছে।নদীগুলোকে একাধিকবার দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হলেও পরে রহস্যজনক কারণে নিরব হয়ে যান সংশ্লিষ্ট কর্তারা। বিশেষ করে সুরমা নদী থেকে বাসিয়া নদী, মাকুন্দা নদী ও বাসিয়া নদী থেকে চরচন্ডি নদীর প্রবেশমুখ খনন না হওয়ায় শুকনো মৌসুমে নদীগুলো একেবারে শুকিয়ে যায়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও নুসরাত জাহান বলেন, মামলা জটিলতায় বাসিয়া নদীর অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান ব্যহত হচ্ছে। আর রোববার নদী রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে মাকুন্দা ও চরচন্ডি নদীর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

You might also like