দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত রানীগঞ্জ সেতুঃ বেপরোয়া মোটরসাইকেল

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী
ঈদ আর নববর্ষের উৎসবে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ভাটিবাংলার ‘পদ্মা সেতু’ খ্যাত রানীগঞ্জ সেতু দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের দৌরাত্নে দর্শনার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু বেপরোয়া চলাচল নয়, মোটরসাইকেল চালকরা সেতুর উপরে যত্রতত্র মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে রেখে বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে থাকে। এতে করে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের জগন্নাথপুরের কুশিয়ারা নদীর ওপর সিলেটে বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতু ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর উদ্বোধনের পর রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি জগন্নাথপুর তথা জেলাবাসীর সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়। দীর্ঘতম এ সেতু দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর, ঈদ-উল আযহা, নববর্ষ, বিভিন্ন উৎসবের দিনসহ সরকারি ছুটির দিনসমুহে হাজার হাজার দর্শণার্থীর ঢল নামে ওই সেতুতে।
তবে এ সময় মোটরসাইকেল চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা আশংকা দেখা দেয়। এমনিতেই প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পাশাপাশি সেতুর উপরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখায় সৃষ্ট যানজটে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সম্প্রতি ঈদ-উল ফিতর ও নববর্ষের উৎসবে এই সেতুতে মানুষের ঢল নামায় প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়েছেন জনগণ। অনেক ভারী যান পারাপারের সময় যানজট সৃষ্টি করে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমরা মুক্ত হাওয়া ও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এবং বিকেলের অবসর সময়টুকু নির্বিঘ্নে পার করতে এ সেতুতে আসি। কিন্তু মোটরসাইকেল চালকদের বেপরোয়া আচরণে আমরা অতীষ্ঠ। এভাবে গাড়ি চালিয়ে সেতু উদ্বোধনের পর কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কিছু বখাটে দর্শণার্থী মেয়েদের বিরক্ত করে এবং জবরদস্তিমুলক মোবাইল নাম্বার নেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে মেয়ে দর্শণার্থীরা নিরাপত্তহীনতায় ভোগছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদের দিনে রানীগঞ্জ সেতুতে জনসমাগম হয়। যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য পুলিশ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে পুলিশ থাকায় এবার এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। আমাদের বিট পুলিশও ওখানে অবস্থান করছে।

You might also like