দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে বের করে দেয়া হবে : জাহাঙ্গীর কবির নানক

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আ’লীগ বরাবরই একটা নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল। দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী। কারণ, আমরা জানি ক্ষমতার পট পরিবর্তনের উত্তম উপায় হচ্ছে নির্বাচন। যারা অগণতান্ত্রিক তাদের নির্বাচনে আগ্রহ থাকেনা। কেউ কেউ আত্মমর্যাদা হারানোর ভয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায়না। আবার কারো কারো ইচ্ছা থাকলেও তথাকথিত নেতাদের রক্তচক্ষুর ভয়ে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বা বয়কট করে। এটাই হচ্ছে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। দেশের মানুষ এদের অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কোন জনসমর্থন-ই নেই। কেউ নির্বাচনে এলো কিনা, তাতে আ’লীগের কিছু যায় আসে না।

২০ মে শনিবার সিলেট নগরির একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গঠিত পশ্চিমাঞ্চলীয় সেন্টার কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।নগর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় নানক আরও বলেন, আ’লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনার নেতাকর্মী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কাউকে ‘মাই ম্যান’ হিসেবে তৈরি করা যাবেনা। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানক আরও বলেন, এবারের এই নির্বাচনে যেসব নেতাকর্মী ত্যাগ স্বীকার করবেন, কর্ম অনুযায়ী তাদের অবশ্যই মূল্যায়ণ করা হবে। আর যারা কাজ করবেন না বা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন তারা দয়া করে দল ছেড়ে দিবেন। অন্যথায় দল থেকে বের করে দেয়া হবে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আ’লীগ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংবাদ নগরবাসির ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সিলেট বরাবরই আ’লীগের শক্ত ঘাঁটি। অবশ্যই এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সেই সত্যের প্রতিফলন ঘটাবেন সিলেটবাসী। কারণ, সারাদেশে আ’লীগের উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে সিলেট বঞ্চিত থাকতে পারেনা। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মাধ্যমেই সরকার তা করবে। আগের মেয়র কোটি কোটি টাকার সদ-ব্যবহার করতে পারেননি। আনোয়ারুজ্জামানের মাধ্যমেই তা করা হবে। আর তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নৌকার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, সিলেটের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে যেভাবে মাঠে নেমেছেন, কাজ করছেন, এতে প্রমাণ হচ্ছে আ’লীগ সবসময় ঐক্যবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। ১০ বছর ধরে আমরা টাকা দিলেও তার সদ-ব্যবহার হয়নি। কেন হয়নি? সিলেটবাসীকে এর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এখন আনোয়ারুজ্জামানের হাত ধরেই সরকার সেটি করবে। সরকারি বরাদ্দের সদ-ব্যবহারের মাধ্যমে সিলেটবাসীর উন্নয়ন হবে। একটি আধুনিক ও স্মার্ট নগরি হিসেবে বিশ্বজোড়া পরিচিতি পাবে এই আধ্যাত্মিক নগরি।

আ’লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দলের নেতা-কর্মী আমাকে যেভাবে সমর্থন এবং সহযোগিতা করছেন আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী ২১ জুন নৌকার বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনারা মাঠ ছাড়বেন না। নগরির প্রত্যেক সম্মানিত ভোটারের কাছে গিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট চাইতে হবে।’ তিনি বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি স্মার্ট নগরি উপহার দেবো। নগরবাসীকে যাতে উন্নয়ন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থেকে কাজ করবো। সারাদেশের মধ্যে সিলেটই হবে সবচে’ দৃষ্টিনন্দন এবং বাসযোগ্য নগরি।এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমেদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জিএম জেড কয়েছ গাজী, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, নগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, বিধান কুমার সাহা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, নগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, জেলা আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ শমশের জামাল, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মবশ্বির আলী, জেলা ও নগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী ও খন্দকার মহসিন কামরান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, জেলার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার মিনু, নগরির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, জেলা ও নগরির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মো. সাকির আহমদ শাহিন ও অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, জেলা ও নগর আ’লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমদ চৌধুরী, জেলা ও নগর আ’লীগের নির্বাহী সদস্য লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, মো: নিজাম উদ্দিন, এমকে শফি চৌধুরী এলিম, আমাতুজ জুহুরা রওশন জেবিন, শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, নুরুন নেছা হেনা, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, এডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, ইলিয়াস আহমদ জুয়েল, জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজউদ্দিন,উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন, কানাই দত্ত, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরন মিয়া,জাতীয় শ্রমিক লীগ নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন।

You might also like