দিরাইয়ে আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ: দলের নয়া সভাপতি-সেক্রেটারি ও মেয়রসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় এবার উপজেলা আ’লীগের নতুন কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, দিরাই পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায়সহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।রোববার সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার আদালত) সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে অভিযোগটি দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে দিরাই থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে দিরাই থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, আদালতে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে।
দিরাই থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন, দিরাই পৌরসভার চন্ডিপুরের মশাহিদ মিয়ার পুত্র যুতিমা মিয়া বাদী হয়ে রোববার সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে উপজেলা আ’লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, নতুন সভাপতির সহোদর ও জেলা আ’লীগের সদস্য আলতাব উদ্দিন, দিরাই পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, দিরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত প্রথম মামলার বাদী কলিম উদ্দিনসহ ৭৭ জনকে আসামি করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে এফআইআর করতঃ তদন্তের জন্য দিরাই থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন মঞ্চে উঠাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মঞ্চে হামলা হয়। হামলাকালে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্ত, মুহিবুর রহমান মানিক ও এ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হামলা থেকে নিজেদের রক্ষায় তারা সামনে ও মাথার উপরে চেয়ার দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।