দিরাইয়ে ১৪ তম বাৎসরিক অষ্টপ্রহরব্যাপী হরিনাম ও লীলা সংকীর্ত্তন মহোৎসব
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃবিশ্ব শান্তি মানব কল্যানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রতিবছরের ন্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠে ১৪ তম বাৎসরিক অষ্টপ্রহরব্যাপী হরিনাম ও লীলা সংকীর্ত্তণ মহোৎসব শুরু হয়েছে এবং আগামীকাল সোমবার দধি ভাঙ্গনের মাধ্যমে এই অষ্টপ্রহর হরিনাম মহাসংকীর্ত্তন শেষ হবে।রবিবার কালাচাঁদ জিউর মন্দির কমিটির আয়োজনে ভোর থেকে মহোৎসবকে ঘিরে গ্রামের মাঠে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারীপূরুষ ভক্তবৃন্দের পদভাবে অনুষ্ঠানস্থল ছিল কানায় কানায় ভরপুর। পাশে দোকানীরা বিভিন্ন ধরনের খেলনাসামগ্রী নিয়ে বসেছেন। এ উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কালাচাঁদ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে ও কমিটির সভাপতি কানু রঞ্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক টিটু তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু,বৌদ্ধ,খিৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি ও সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক অশোক তালুকদার।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপদেষ্টা শ্রীকান্ত তালুকদার,সহ সভাপতি মিঠু তালুকদার,রজ্ঞিত তালুকদার,কোষধ্যক্ষ মোহিত তালুকদার,করিমপুর ইউপির ৩নং ইউপি সদস্য জুয়েল আহমদ,সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক রনধীর চন্দ,সহকারী কোষাধ্যক্ষ সমীর তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরতেই পবিত্র গীতা পাঠ করেন মেঘা তালুকদার।
গোবিন্দপুৃর কালাচাঁদ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক টিটু তালুকদার বলেন তাদের পূর্বপূরুষ থেকে শুরু করে সবাই আওয়ামীলীগকে বার বার ভোট দিয়ে আসলেও তারা সব সময়ই উন্নয়নের দিকে থেকে অবেহিলত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র দেশের প্রত্যেক ধর্মের মানুষের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন মূলক কাজ হলেও তাদের গ্রামে স্বাধীনতার ৪৯ বছরে ও একটি মন্দির ও একটি শশ্মানঘাট নির্মাণ করে দেননি কোন জনপ্রতিনিধিরা। তাই দ্রুত এই গ্রামে একটি মন্দির ও একটি শশ্মানঘাট নির্মানের দাবী জানান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু,বৌদ্ধ,খিৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি ও সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক অশোক তালুকদার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন সময়ে ১৯৭১ সালে প্রতিটি ধর্মের মানুষ জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দু’লাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশে সংখালঘুরা কি আজো তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তিনি বলেন এই গোবিন্দপুর একটি হিন্দু সংখ্যাগুরু গ্রাম হলেও এই গ্রামে আজো প্রতিষ্ঠা করা হয়নি একটি মন্দির ও শশ্মানঘাট। প্রতিবছর কোন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে হলে এই গ্রামের নারীপূরুষদের যেতে হয় স্থানীয় দিরাই উপজেলা সদরের মন্দিরে। এই গ্রামে একটি মন্দির ও একটি শশ্মানঘাট নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।