দুই মাস পর ঘুরলো গণপরিবহনের চাকা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ দুই মাস বন্ধ থাকার পর রোববার (৩১ মে) সকাল থেকে চালু হয়েছে গণপরিবহন। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার দিকে আসতে শুরু করেছে যাত্রীবাহী ট্রেন। শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচলও।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠাচ্ছেন নামাচ্ছেন বাস শ্রমিকরা। যাত্রীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস এমনকি ব্যক্তিগত সুরক্ষার সামগ্রী (পিপিই) পরিধান করছেন। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়েছে। বরিশাল থেকে লঞ্চ ছাড়ছে ঢাকার উদ্দেশে। অভ্যন্তরীণ রুটেও শুরু হয়েছে নৌ চলাচল। তবে এখনও যাত্রী উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ট্রেনের এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী বসানো হয়েছে। তবে কোনও বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়নি। টিকিট কিনতে হয়েছে অনলাইনে।রাজধানীতে দুই মাস পর গণপরিবহন চালু হওয়ায় এবং প্রথম দিনের সকালবেলা হওয়ায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান শাহবাগে কর্তব্যরত একজন পুলিশ সার্জেন্ট।
ভাড়া বাড়িয়ে ১ জুন বাস চলাচল শুরুর কথা থাকলেও একদিন আগে থেকে রাজধানীতে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত হলে ১ জুন থেকে পুরোদমে শুরু হবে বাস চলাচল।বিআরটিএর-এর পরিচালক লোকমান হোসেন মোল্লা জানান, ভাড়া পুননির্ধারণে যে কমিটি সেখান থেকে ৮০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার সুপারিশ করে একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে গেছে। এখন সেটি অনুমোদন হলেই ভাড়ার তালিকা করা হবে। সেটি বিকেলের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে।তিনি বলেন, যেহেতু অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলবে সে কারণে এই ভাড়া বর্ধিতকরণ। অর্থাৎ যাত্রীকে তার পাশের সিটের ভাড়াও বহন করতে হবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যেহেতু প্রতিটি বাসে ৫০ শতাংশ সিট খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাই বাস মালিকদের যেন আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি না হতে হয় সে জন্য সরকার অন্যান্য শিল্প-বাণিজ্যের ন্যায় গণপরিবহনের জন্যও আর্থিক প্রণোদনা বা ভর্তুকি এবং স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।রেলওয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, সারাদেশে আটটি ট্রেন চলবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সুবর্ণ, সোনারবাংলা ও উদয়ন পাহাড়িক এক্সপ্রেস চলবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী জানান, এ ৩ ট্রেনে ২ হাজার ৮০টি সিট রয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকে ১ হাজার ৪০ টি টিকিট উন্মুক্ত করে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি দুই সিটে একজন করে যাত্রী উঠানো হবে।স্টেশন সূত্র জানায়, এরই মধ্যে সকাল ৭টায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়েছে সুবর্ণ এক্সপ্রেস। ৯ টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে উদয়ন এক্সপ্রেস। এ ছাড়া বিকেল ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে সোনারবাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন।রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, সকাল ৭টায় অর্ধেক যাত্রী তুলে বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এই ট্রেনে ৯২৮টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে অধেক ৪৬২ টি সিটে যাত্রী উঠানো হয়েছে।