দু’দিন ধরে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের বাঁধ পরিদর্শনে মন্ত্রী,হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়া হবে-পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম দ্বিতীয় দিনের মতো হাওরের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বলেন পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জ হাওরের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়া হবে,প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা সহযোগিতা পাবেন।শুক্রবার সকাল ১০ টায় দ্বিতীয় দিনের মতো দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন করেন এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সেখানে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন,হাওরের বাঁধের কাজে অনিয়মের ক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই। আপনারা হয়ত জানেন প্রথম শ্রেণীর ২২ জন টিকাদার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমরা কালো তালিকা তৈরি করে রেখেছি কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে হাওরে যেহেতু ফসল ডুবে গেছে সে জন্য আমরা রোববারে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিব উচ্চ পর্যায়ে এবং সেই তদন্ত কমিটি সুনামগঞ্জে এসে সুষ্ঠু তদন্ত করবে। সেই তদন্তে যদি হাওরের বাঁধে কাজে কোন সরকারি কর্মকর্তা কিংবা পিআইসি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়াসেন গুপ্তা,সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এড. শামীমা শাহারিয়ার,সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিৎ সরকার,সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবির ইমন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ও জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ প্রমুখ।গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমদিনে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এদিকে নদীও হাওরের পানি কিছুটা কমায় বাঁধ ভাঙা শঙ্কা কমছে। আর ফাটল দেয়া বাঁধ মেরামত কাজ করছেন কৃষক,থেকে শুরু করে প্রশাসন। গেলো ৭ দিনে পাহাড়ি ঢল হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৮ টি বাধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকদের প্রায় ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি আধাপাকা বোরো ফসল।