দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২৬ ,শনাক্ত ১ হাজার ১৮৬৮
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।এই সময়ে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮৬৮ জন।শনিবার (২০ মার্চ) বিকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৮৬৮ জন শনাক্ত নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৬ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৬৬৮ জন।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। বর্তমানে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। এটিকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।দেশে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। ভাইরাসবিদ এবং রোগতত্ত্ববিদরা এটাকে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন, বিগত ঢেউয়ের তুলনায় এবারে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। সংক্রমণ রেখা সোজা উপরে উঠতে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা ধারণা করাও কঠিন।
চলতি মার্চ থেকে ১৭ দিনে দেশে করোনা সংক্রমণের তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণে ভয়াবহ চিত্র ফুটেছে। দেখা গেছে ২ মার্চ শনাক্ত রোগী ছিল ৫১৫ জন। ওই দিন মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০১৮ জন, অর্থাৎ দ্বিগুণ। একইভাবে পরের এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার আরও বেড়ে তারও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৮৬৫ জনে উন্নীত হয়।স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে অবাধ চলাফেরাও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বিমানবন্দর ছাড়া কোথাও কোয়ারেন্টিন হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি জনসাধারণের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। এসব সঠিকভাবে প্রতিপালন না হলে করোনার এবারের ঢেউয়ে সংক্রমণ কতটা চূড়ায় উঠবে সেটা বলা কঠিন।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটউশনে নার্সদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।মৃত্যুহার ও সংক্রমণ বেড়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশে করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেন। আরও বলেন, দেশের মানুষ এখনো ভালো আছে। কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে ভালো থাকবে না কেউই। সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।