দোষীদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে-পুলিশ সুপার
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় প্রেস বিফিং করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান। রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ঐ প্রেস বিফিং অনুষ্ঠিত হয়।প্রেস বিফিং এ সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন দাস আপন নামে এক যুবক ফেইসবুকে আপত্তিকর কমেন্ট করলে মামুনুল হকের অনুসারীরা পোষ্ট দেখার পরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে গত ১৬ই মার্চ। শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামী শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়ার বিরোধ ছিল । পরের দিন গত ১৭ই মার্চ সকালে ৪ থেকে ৫ টা গ্রামের মানুষ নোয়াগাঁও গ্রামে অবস্থান করছিল, তবে কতজন লোক সেখানে ছিল, সেটা বলা সম্ভব না, তবে একটা মেসেজ দিতে পারি অকারণে কাউকে হয়রানি করা হবে না, পুলিশ জনগণের বন্ধু, ঐ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত ছিল এইহামলার ঘটনার দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আপনাদের কে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীন কোন দলের সদস্য ছিল, কোন দলের নেতা ছিল সেটা আমাদের দেখার বিষয় না, স্বাধীন অপরাধী সেটাই মূল্য বিষয়। তিনি বলেন, যে দিন ঐ ঘটনাটি ঘটে সেই দিন জাতির পিতার জন্মদিন ছিল, আমরা সেই প্রোগাম নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম, যেই সময় ঐ ঘটনা ঘটে সাথে সাথে নোয়াগাঁও গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়েতিনি এবং জেলা প্রশাসকসহ ভিজিট করেন । এ সময় তারা জানিয়েছিল গ্রামের কিছু বাড়িতে লুটপাঠের ঘটনা ঘটেছে। এই গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ দরিদ্র শুধুমাত্র ঐ গ্রামের স্থানীয় হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান একটু স্বচ্ছল। তিনি প্রতিটি পরিবারকে ভয় না পাবার আশ^াস দিয়ে বলেন তাদের আইনগত সহায়তা দিতেও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। মামলা নিতে একটু দেরী হয়েছে উল্লেখ করে আরো বলেন, এই ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে কঠো শাস্তি নিশ্চিত করলে আগামীতে কেহ এমন ঘৃনিত কাজ করতে সাহস পাবে না বলে মনে করেন তিনি।প্রেস বিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান প্রমুখ।