দোয়ারাবাজারে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় আটক- ৫
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মো. নূর আলম (১৮) নামের ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।আজ রোববার আটকৃত ৪ জনকে সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।গত শনিবার সকালে সিলেট শহরের কদমতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের গুলফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২১), লক্ষীপুর থেকে লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের গুলফর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭), আব্দুস ছাত্তারের পুত্র সুজন মিয়া (৪০), মমশর আলীর পুত্র উমর গনি (২৫) ও ওসমান গনি(৩০), সুজনের স্ত্রী রুবিনা বেগম (২২)।
পুলিশ সুত্রে জানা যায,আটককৃত কামরুল ইসলামকে শনিবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বেলাল আহমদের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন আদালত। আটককৃত অন্যদের রোববার বিকাল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।এদিকে শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় নিহত নুর আলমের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহত নুর আলম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্প গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজির আলম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় ও সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন ও আসামি আটক করতে সক্ষম হয়েছি। সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ জানান, গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত অন্যদের খবর তার জানা নেই।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে জিরারগাঁও গ্রামের পাশে ফসলি জমি থেকে মো.নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।পশ্চিম বাংলাবাজারে একটি রেঁস্তোরা ব্যবসা পরিচালনা করতেন নুর আলম।বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর আর ফিরেনি।শুক্রবার সকালে জিরারগাঁও গ্রামের পাশে ফসলি জমি থেকে মো. নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।