দোয়ারাবাজারে শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের হামলায় জামাতাসহ তিনজন আহত
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় শ্বাশুড়ির সাথে ছেলের বউয়ের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বাপের বাড়িতে চলে যাওয়া নিয়ে উভয়পক্ষের সালিশ বৈঠক শেষে হামলা ও মারধোরের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ মে দুপুর ১টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের সুড়ীগাওঁ গ্রামে। এ ঘটনায় সুড়ীগাঁও গ্রামের মোঃ সিরাজুল হকের ছেলে মোঃ সালামত উল্ল্যাহ বাদি হয়ে গত ১০ মে প্রতিপক্ষ একই ইউনিয়নের জিরারগাওঁ গ্রামের মৃত আমিনুল হকের ছেলে বাদির শ্বশুড় মোঃ আব্দুস শহীদ,আব্দুল খালেক,আব্দুল্লাহ,আল আমিন,জাফর উল্ল্যাহর ছেলে আলমগীর,নবী হোসেনেরছেলে নুর মিয়া,চকিরঘাট গ্রামের জয়নাল আবেদীন,তিলোরাকান্দি গ্রামের ইনু মিয়া ও শ্বাশুড়ি আছিয়া বেগমকে বিবাদি করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুড়ীগাঁও গ্রামের বাদি সালামত উল্ল্যাহ প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের মোঃ আব্দুস শহীদের মেয়ে নাজমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিবাহের পর তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালভাবে চলতে থাকায় তাদের দুটি ছেলে সন্তান ও রয়েছে। কিন্তু গত প্রায় দুই মাস পূর্বে বাদির মাতা জহুরা বেগমের সাথে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী নাজমা বেগম পিত্রালয়ে চলে যায়।
এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে গত ১০ মে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে মোফাজ্জলের বাড়িতে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু হঠাৎ করে স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজন সালিশ বৈঠক অমান্য করে চলে যান। কিন্ত বাদি মোঃ সালামত উল্ল্যাহ,ও তার পিতা মাতা বৈঠক শেষে নিজ বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় বাদির শ্বশুড় ও তার স্বজনা মিলে বাদি মেযের জামাই মোঃ সালামত উল্ল্যাহ ও তার পিতা মোঃ সিরাজুল হক ও মাতা জহুরা বেগমের উপর দাড়ালো অন্ত্র রামদা লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় এবং দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোঃ আবুল হাশেম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।