দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনঃ সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে কে কত ভোট পেলেন
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ গত ৭ জুন রোববার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশবাসী তাঁদের সাংবিধানিক নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। এদিন সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল অনুযায়ী সিলেট জেলার ৬টি আসনের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ৫টি এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলার ৫টির মধ্যে ৪টিতে নৌকা এবং একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। হবিগঞ্জের ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে আ’লীগ এবং অপর দু’টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান। মৌলভীবাজারের ৪টি আসনেই এককভাবে নৌকা জয়ী হয়েছে। নিম্নে নির্বাচনে জেলাওয়ারী হিসেবে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা তুলে ধরা হলো।
সিলেট জেলাঃ
সিলেট-১ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আ’লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা ফয়জুল হক মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৩ ভোট। এছাড়া এই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইউসূফ আহমদ (আম) ৯৬৩ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আবদুল বাছিত (ছড়ি) ৯০৭ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সোহেল আহমদ চৌধুরী (ডাব) প্রতীকে ৪৫০ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট-২ আসনে আ’লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা) ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহিবুর রহমান (ট্রাক) পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬১ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল) ৬ হাজার ৮৭৪ ভোট, গণফোরামের মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য) ১ হাজার ৯২২ ভোট, তৃণমূল বিএনপি’র মো. আবদুর রব (সোনালী আঁশ) ৯৪৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মনোয়ার হোসাইন (আম) ২৫৩ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির (ডাব) প্রতীকে ১৮৫ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট-৩ আসনে আ’লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব ৭৯ হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল (ট্রাক) পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৩৬ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল) ৪ হাজার ২৬৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলাম (ঈগল) ১৩৩ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. ময়নুল ইসলাম (মিনার) ২০৩ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম (মোমবাতি) ৫৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ার হোসেন আফরোজ (আম) ২২০ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট-৪ আসনে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৭ হাজার ৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপি’র আবুল হোসেন (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ৪ হাজার ১১ ভোট। এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের নাজিম উদ্দিন কামরান (মিনার) ৩ হাজার ৫২ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট-৫ আসনে কেটলি প্রতীকে ৪৭ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, ফুলতলী পীরের ছেলে ও আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুক উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৩ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ড. আহমদ আল কবির (ট্রাক) পেয়েছেন ২০ হাজার ২৩০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দিন সিকদার (সোনালী আঁশ) ২ হাজার ২০৭ ভোট, জাতীয় পার্টির শাব্বির আহমদ (লাঙ্গল) ১২৪ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলম (ডাব) ১৫৯ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট-৬ আসনে ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আ’লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, কানাডা আ’লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন (ঈগল) ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট। এছাড়া তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী ও দলের চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল) ৫ হাজার ৫৭৯ ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান (ছড়ি) ১৬৯ ভোট এবং ইসলামী ঐক্যজোটের সাদিকুর রহমান (মিনার) পেয়েছেন ৬২২ ভোট।
সুনামগঞ্জ জেলাঃ
সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। শুধুমাত্র সুনামগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা বিজয়ী হন। রোববার রাত পৌণে ১টায় সুনামগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী রঞ্জিত চন্দ্র সরকার নৌকা প্রতীকে এক লাখ ১৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩১৩ ভোট। এ আসনে প্রদত্ত শতকরা ভোটের হার ৪২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সুনামগঞ্জ-২ এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা কাঁচি প্রতীকে ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী) নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৬৭২ ভোট। এ আসনে দু’টি উপজেলায় ১১১টি কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার। ১১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩টি কেন্দ্রের ফলাফল বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বন্ধ ৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৯ হাজার ৫৭ জন। এ আসনে প্রদত্ত শতকরা ভোটের হার ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি শাহিনুর পাশা চৌধুরী সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫ ভোট। এ আসনে ১৪৫টি কেন্দ্রে মোট ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন ভোটার। এ আসনে প্রদত্ত শতকরা ভোটের হার ৩৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক নৌকা প্রতীকে ৯০ হাজার ৩৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি পীর ফজলুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১৮ ভোট। এ আসনে ১১২টি কেন্দ্রে মোট ৩ লাখ ৪১ হাজার ৮২৯ জন ভোটার। এ আসনে প্রদত্ত শতকরা ভোটের হার ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান মানিক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১৯ ৪০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট। এ আসনে ১৬৪টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯ জন। এ আসনে প্রদত্ত শতকরা ভোটের হার ৪৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
হবিগঞ্জ জেলাঃ
হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে হবিগঞ্জের ৪টি সংসদীয় আসন থেকে অংশগ্রহণ করেন মোট ৩১ জন প্রার্থী। এরমধ্যে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মুমিন চৌধুরী বুলবুলসহ মোট ২৪ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ যারা সাড়ে ১২ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন তারা জামানত হারাবেন।
হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১৯ ভোট। ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারহানী মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো: নুরুল হক গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১৩ ভোট। এ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৫,০৫২ ভোট। সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ১,০৭,৭৯৭। শতকরা হার ২৪.৯৯।
হবিগঞ্জ-২ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৩ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনমোহন দেবনাথ গামছা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪ ভোট। ইসলামী ঐক্যজোটের শেখ হিফজুর রহমান মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২১ ভোট। তৃণমূল বিএনপি’র খাইরুল আলম সোনালী আঁশ নিয়ে পেয়েছেন ৩০৯ ভোট। বিএনএম’র এসএএম সোহাগ নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭২ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪১ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: জিয়াউর রশিদ ডাব প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। আসনটি থেকে বিজয়ী হয়েছেন আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৯,৯৪৩ ভোট। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১,৫২,৪৩৬। শতকরা হার ৪১.৩৯।
হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪,০৭৬ ভোট। বিএনএম’র প্রার্থী মো: বদরুল আলম সিদ্দিকী নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫২ ভোট। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো: আদম আলী ফুলেরমালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৪ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো: আব্দুল কাদির আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৫ ভোট। জাকের পার্টির আনসারুল হক গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আবদুল ওয়াহেদ চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪৪ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: নোমান হাসান ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১২ ভোট। মুক্তিজোট (জেডিপি) এর মো: শাহিনুর রহমান ছড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫১ ভোট। আর ১,৬০,৬০৫ ভোট পেয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী মো: আবু জাহির। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১,৬৯,৪১২। শতকরা হার ৪৩.৪৭।
হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৭ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: আল আমিন ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪০ ভোট। ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশের আবু ছালেহ মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৩ ভোট। বিএনএম’র মো: মুখলেছুর রহমান নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৩ ভোট। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আব্দুল মুমিন চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐকজোটের মো: রাশেদুল ইসলাম খোকন ছড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৭ ভোট। আর এ আসন থেকে ১,৬৯,০৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২,৪৩,৪৩৭। শতকরা হার ৪৭.৫২।
মৌলভীবাজার জেলাঃ
মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা জানান,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মধ্যে সবগুলোতে আ’লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ভোট গণনা শেষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা উর্মি বিনতে সালাম রোববার রাতে এ ফল ঘোষণা করেন।
মৌলভীবাজার-১ আসনে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে আ’লীগের প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আ’লীগের শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নৌকা প্রতীকে ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী একেএম শফি আহমদ সলমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট। আর তৃণমূল বিএনপি’র এমএম শাহীন সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৯টি।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পাটির মো. আলতাফুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট।
মৌলভীবাজার-৪ আসনে আ’লীগের উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোটে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আব্দুল মুহিত হাসানি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোমবাতি প্রতীকে ৫ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।