ধর্মপাশায় বাড়িতে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার ১
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ বলছে, গত ২২ অক্টোবর রাতে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় মামলা করেন। এরআগে সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মিয়াকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।ধর্মপাশা থেকে সংবাদদাতা জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাওর এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর (১৫) মা–-বাবা গত ২২ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তাঁর ছোট ভাই ছিল। ওইদিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মিয়া (২১), সৈকত মিয়া (২০) ও উদয় মিয়া (১৯)। এ সময় ছাত্রীটি রান্নাঘরে ছিল। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে এনামুল। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে সৈকত ও উদয় ধর্ষণ করে। এ সময় বাইরে দুর্জয় মিয়া (২০) ও রাহুল মিয়া (২১) পাহারায় ছিল। সম্মানহানির ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে কিছু জানায় নি।
পুলিশ বলছে, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বড় বোন তাঁর ফেসবুকে অজ্ঞাত আইডি থেকে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও দেখতে পান। আর এই কাজে সৈকত রয়েছেন বলে তিনি চিনতে পারেন। পরে ঘটনাটি ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে থানা –পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সোমবার সকালে সৈকতকে আটক করে।বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা সৈকতসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৈকতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তের পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।